আমার কয়েকটি কবিতা,,,


১)
আহা,,,,,,নদী দাঁড়াও
একটু দেখে নেই এমন সূর্যোদয়।
বসো একটু ঘাটে,,,ঘ্রাণ নিয়ে নেই
এমন সরিষা মাঠের।
একটু অপেক্ষা কর সময়
ছ্যাকে নাই স্বাদ মধুকরের মুখে।
দয়া করে একটু থেমে যাও মরণের পথ
প্রেম করে নিই এই ছবিটির সাথে।
যে এসেছে সম্মুখে
আমাকে  চেনাতে।


২)
কিছু কী বলবে,,
নাকি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে  হেলান দিয়ে বাতাসে,
ধরতে চাইবে জলীয় বাষ্প।
বলবে পড়ে নাও তা,
অধরে লাগিয়ে;আমার ভাষা!
নজর টা কোন বারান্দার কোনে কবুতরের
আওয়াজের সাথে মিশিয়ে বলবে,,
বুঝে নাও এই আমার আশা।


দূরে তখন হয়ত সন্ধ্যা আরতি শেষে
ঘুম পাড়ানু হবে রাধার সাথে কৃষ্ণকে।
তবু আমি বলব,,
উচ্চারণ করব বার বার,


কিছু কী বলবে?


৩)
হা হা হা,,,এমন করে হাসলে
নদীতে পানি বাড়ে,বন্যায় ভাসে লোকালয়।
ঘুম ভেঙ্গে পাহারাদার বলতেই থাকে,,,,
খবরদার,,,,,খবরদার।
তারপরেও হা হা হা,,, করে হাসলে
চোরের মনে স্বপ্ন বাড়ে,,,, ডাকাত সাজিবার।
অলংকার নয়
কোন জীবন্ত মানুষ চুরি করিবার।
যে হা হা হা করে হাসে বার বার।


৪)
তুমি কবি,
তুমি হয়ত নারিকেল পাতার ভাষা বুঝ,
জলের শব্দে রাধার ছবি খোজ,,,
তুমি হয়ত পাতার সজ্জিত বৃক্ষে
বনলতা সেন কাব্যটাও পড়তে পার।
পারো কোন পাখির পালকের মাঝে
স্পর্শ করতে
কৃষ্ণ ঠোটের,,,!!
কিন্তু আমি যে নারী
আমার যে নলকুপ চাই।
পাতাল নয়,পাতাল হতে এক চামচ পানি চাই


৫)
বিশ্বাস বুঝি হয় না আকাশের বুকে রঙের রেখা?
পড়তে বুঝি পারোনি শিলালিপি,,,
যা লিখেছিলাম আমি কোন কালে?
চিনতে বুঝি পারো নি তোমার কাপড়ের রঙ
শুনতে বুঝি পারো নি তোমার নুপুর
যা আমি পরিয়ে দিচ্ছি রোজ
আপন হাতে
এই প্রবাস হতে।


৬)
দেখব তো তোমায়,,,,,
পানসী নউকার পালে বসিয়ে তোমায় দেখব,,,
কলমের কালিতে মিশিয়ে
কবিতা উপন্যাস গল্পে গল্পে তোমায় দেখব,,,
তোমাকে আমার নিত্য শরবতের চিনিতে মিশিয়ে দেখব,,
ঠাকুরের ছবির ফ্রেমটার মাঝে রেখে তোমায়
প্রার্থনায় প্রার্থনায় দেখব।
তোমাকে আমার নয়ন সম্মুখের দৃশ্যের
প্রতি রঙে দেখব।
দেখব আমার অনুভবে
আমার শ্বাস প্রশ্বাসে


৭)
আরো আগে বলতি বন্ধু,,,,
তাহলে আজ গোলাপ টা তোর জন্যে লাল হত
প্রজাপতির পাখায় তোর জন্যেই রঙের তুলি লাগাতাম।
ঘাটে লাগিয়ে তরী অপেক্ষা করতাম তোর নুপুরের জন্যে,,,
বিশ্বাস কর,,,চাঁদের গায়ে জ্যোতস্না লাগিয়ে দিতাম সোহাগে সোহাগে,,,
সকালের পথটায় খালি পায়ে হেটে যেতাম,,,শিশির স্পর্শের অভিযানে,,,
ঈস একটু আগে বলতি,,,,
তাহলে গুগুলকে পাঠাতাম জেলখানায়।
উন্মুক্ত করে দিতাম আমার ফেইসবুক,,,তোর ছবি দিয়ে।


৮)
তোর ভিতর এত আগুন,,ছিল যদি জানতাম,,
তাহলে আজও আমি প্রদীপ জ্বালাতাম না ঘরে।
সন্ধ্যে বেলা বারান্দায় বসে
দূর বাগানের ফুলের ঘ্রাণ নিতে নিতে
চাঁদোয়ার চাদর গায়ে নিতাম,,,,
আর শীতে কাঁপতাম ।
যদি জানতাম তুই লিখতে জানিস,খোদাই করতে পারিস পাথর,,,
বিশ্বাস কর,,,আমি সর্বোচ্চ পাথর হয়ে থাকতাম।
আর ভাবতাম,,রাম আসবে আসবে।
আসবে রাম,
অহল্যার মুক্তির তরে,,,
স্পর্শে স্পর্শে,,,।


৯)
প্রতিবাদ করার দরকার নেই মা,,,
মোমবাতি পুড়িয়ে কী লাভ,ঈশ্বর  অনড়।
প্ল্যাকার্ড  হাতে নিয়ে কেন মিছামিছি
করছ বর্ণের অসম্মান।
সত্য করে বলতো মা,,
ধর্ষণ রোধিতে, কবে করবে অনীহা
পুত্র সন্তানের দিতে জন্ম দান।