ঈস কী ভুলটাই না করলে তুই!
জানিস? তুই যে দেশে জন্ম গ্রহণ করেছিলে
তোর জন্যে সব ছিল সেখানে।
তুই হাত বাড়ালেই
চারদিক চলে আসত তোর পেছনে।
তুই যাই করতে ওদের সীমানা রেখার মাঝে
তাই হত নন্দিত, বন্দিত।
তোর কোন অন্যায়ই থাকত না,,
তুই কোন ভুলই করতে না।
লুকিয়ে লুকিয়ে একটু সুরা টুরা পিলেও
ও সবাই জান্নাতি আতর বলে চালিয়ে দিত।
কী যে বোকামি করলে তুই,,
আচ্ছা এমন সুবর্ণ সূযোগ কেউ পা দিয়ে ঠেলে?


প্রকাশ্যে সেথায় সত্য বলা মহাপাপ হলেও
তুই তো গোপনে সেথায় সানি লিওনও হতে পারতে।
শুধু ওদের চোখের সামনে
চোখের  দেয়ালের ভেতরে থাকলেই হত।
কী পারতে না সেথায়?
গণহারে পুনঃ পুনঃ  মিথ্যা কথা বলে
একটু আকাশের দিকে তাকালেই,,,,
সবাই তোকে সত্যবতী বানিয়ে দিত।
একটা মুরগী এভাবে খুন করলে
হয়তো সেথায় কেউ তা খেত না,,,
কিন্তু কারো বিশেষ নাম নিয়ে উট খুন করলেও
কেউ তোকে খুনী বলত না।
বরং তোর চাকুকে বাচানুর জন্যে
পশ্চিমা দেশগুলোর শ্রাদ্ধ করে ফেলত সবাই।
আর তোর হাতে খুন হওয়া
উটের মাংস হত সুস্বাদু হালাল।


তুই যদি একটু নেকাবী হতে,
ঈস একটু বোরকাওয়ালী,,
তাহলে দেখতে তোর তরে
সব মসজিদে দোয়ার প্রতিযোগিতা হত।
যদিও গোপনে হতে তুই কারো চার নম্বর স্ত্রী!
তা আর তেমন কী?
নারীর দেহের মূল্য
দেনমোহর দিয়ে কেনার নামই তো নিকা।
চার নম্বরে হিয়ার সিড়িগুলো একটু নিচে!!!
তাই বলে এমন জনম কেউ ছাড়ে না পাগলী।
বালুর দেশে বালু না হয়ে
রামাবলি, ক্রুশ হয়ে জন্মাতে
তাহলে বুঝতে পাপের জনম কাকে বলে?
নরকের আগুন কাকে বলে?


হতচ্ছাড়ি,,,
কী দরকার ছিল,,চোখের কোনে কাজল পড়তে
কী দরকার ছিল শরীর টাকে
প্যাকেট থেকে বের করে ফেলতে?
কী দরকার ছিল স্কুলে কলেজে পড়ার?
বাচ্চা জনম দেওয়ার জন্যে
পড়ালেখার কী দরকার-লো মুখপুড়ি?


কবুল কবুল করতি
আর বছর শেষে পেট একটা বানাতি!
সুন্নতি পেট!
উপর থেকে আসা তোর পেটের রক্ত খাওয়া প্রাণগুলোকে ইদুরের মত ছাড়তে
তোর এত লাগে কেন লো?
আদর করে না হয় একটু পেটায়
তা সমাজের এত সমর্থন পাওয়ার বদলেও
মেনে নিতে পারলি না?
তাহারুশের মিছিলে
তোর গায়ে হয়ত সবাই একটু ঢলাঢলি করে,
তা তুই পবিত্র দেশের
পবিত্র কাজ কারবারে থাকার তরেও
হজম করতে পারলি না?
তোকে দেখলে সবার জিহবায়
একটু তেতুল খাবার রস আসে,,
তা সবাই মেনে নিলেও তুই মানলি না?
কী এক পাগলামি তোর হলো
সমান অধিকার,  সমাধিকার বলে আওয়াজ তুললি,
পত্রিকা কাপালি, প্রকাশকের ব্যাংক বাজেট
সব বাড়ালি।
কিন্তু বোকা মেয়ে কলম হাতে নিয়ে,
বই লিখে
কি পেলি?


তুই তোর দেশটাই হারালি।


-----------------------
রুবেল চন্দ্র দাস


প্যারিস।


(যাকে উদ্দেশ্য করে কবিতা খানি লেখা, উনি আমার এক আদর্শ।তবে কবিতার খাতিরে তুই শব্দটা ব্যবহার করেছি)


ক্ষমাপ্রার্থী