তালপাতার ছানির ঘর দেখেছ?
অদ্ভুতঘর,,,,!
রাস্তার উপর কাদাটাও এক সময় ইট হয়
কিন্তু তালপাতার ঘরের মালিকের আকাশ কভু বদল হয় না।


আমি সেখান থেকে বিকাশ পাল বলছি,,,
শুনেছি আমার বাবার বাবা,,সেই দেশভাগের আদি থেকে
আজ অব্দি এই ঘরে বাস করছেন,,,।
দেহটা হয়ত নিয়ে গেছেন শ্নশানে,,
কিন্তু রেখে গেছেন, একটি ভাঙ্গা কলস,একটি ভাঙ্গা হাড়ি।
সেই হাড়িতে ভাত নয় জীবন রান্না করেছেন
আমার ঠাকুরমা,মা আর এখন করে,,,
ভাঙ্গা রেডিওয়ালী সীতামন বালা।


বিয়ে করার সময় বলেছিল,তোমার চাঁদই আমার চাঁদ,,,,
তোমার বৃষ্টি ই আমার বৃষ্টি।
কিন্তু আজ বলে বাসরঘর লক্ষ্মীন্দরের লোহার ঘরের মত হওয়া চাই
হোট করে চাঁদ ছাদ ফুটো করে চলে আসুক ঘরে; এ যে বর্বরতা।
মেঘ তার বৃষ্টি হাত হোট করে ঢুকিয়ে দিক অন্দরে
টানাটানি করুক পড়নের কাপড় ধরে; এ যে অসভ্যতা।
আর ঝিরঝিরানি বাতাস কত চরিত্রহীনগো!!!
কেমন করে আসে জোনাকি হাতে
এমন সাজে এমন রাতে?
ওদেরকে বলে দাও,,
এ বাইরের উদ্যান নয়,সমুদ্রের সৈকত নয়
যে তাদের ইচ্ছে অনিচ্ছায় চলবে সব।
এ যে জীবন! এ যে পথে পথে পথ হারানুর জীবন
ঘরে ঘরে ঘর ভাঙ্গার জীবন,,,
জলে জলে জল বাড়াবার জীবন,,,
এখানে এসব চলে না,,,।
এখানে চাঁদেরকণায় অন্ন চাই,,,বাতাসে ঘ্রাণে ব্যঞ্জনের গন্ধ চাই।
এখানে নদীর পাড়ে বসে মাঝ রাতের তারায় তারায়,,,,
বচন নয় কর্ম চাই।


কিন্তু সে কর্ম তো আছেই অকর্ম হয়ে তালপাতার ঘরে,,,
সেই ব্রাহ্মণ পাড়া আজ রসুন- পিয়াজের দখলে
সেখানে উলুধ্বনীর জায়গা নিয়েছে আযান।
জলের নাম হয়েছে পানি,,,,।
কিন্তু এই তালপাতার ঘরে এ জল; না জল না পানি।


তাই তালপাতার ঘরখানিতে দেবতা আসি বলেও
আসেন নি
ফেরেস্তারাত আসেনই না,,,।
আসি শুধু আমরা
বিকাশ পালের পুত্র, প্রকাশ পাল,,,
প্রকাশ পালের পুত্র নাশ পাল
আর নাশ পালের পুত্র বিনাশ পাল,,,,
অত:পর বিনাশ পালের পুত্র শুন্য পাল।


আর সীতামন বালা,,,লক্ষ্মীন্দরের বাসরের অস্থায়ী ঠিকানা পায়
করিমন ভানু হয়ে।,,,,,,,,
অত:পর
তালপাতার ঘর ও,,,ই তালগাছের পাতায় পাতায়
বাবুইয়ের বাসায় বাসায়.....
আশায় আশায়,,,
--------+-+-+++++++++++++++++++++---------------
রুবেল চন্দ্র দাস
প্যারিস
০৮/০৯/১৭