( উৎসর্গ : সন্দেশখালির  ঘরে ঘরে রেখা পাত্রদের)


তোমার বাড়ি তোমার বাস্তিল সীমানায়,,,
তুমি ইঞ্চি ইঞ্চি মাটির রাবণি পাহাড়াদার,,,!
তোমার সৈন্য সামন্তে ভরপুর অঙ্গনে
তুমি সর্বত্র বিরাজমান তাদের ভক্ত প্রাণে।
তোমার জন তোমার দলবলে
তুমিই ত ছিল মুখ,,
ভিক্ষে গ্রহনে প্রতি দুয়ারে দুয়ারে।
তাহলে ভুলে গেছ কেমনে সে হেরোডেটাস বানী
যাকে পাঠিয়েছিলে প্রেম ভালোবাসা আদায়ে
জানিও সে যে,,,সে নয়
সে কেবল তুমি আর তুমি।


এমন তুমিতে কেমনে লুকায়ে রাখলে তারে
হ্যা সর্ব পাহারাদারিনী?
কেমনে তুমি তোমার আলেকজান্ডার সন্তানের স্বীকৃতি দিয়ে
পাঠালে তারে ওই দ্রোপদী রেখা পাত্রদের সম্মুখে?
পিঠে খাওয়ার রাত্রি বিলাসে
কেমনে করল সই,,,
কেমনে দিলে আদর ভালোবাসা ,চুম্বন
শুভ্র গোলাপ শাড়ি পরে?


তুমি না প্রতি কনায় কনায়,,গঙ্গা জল হয়ে
প্রতি স্থানে তুমিই হও মুখ ,,আসন উপার্জনে!
তাহলে এ কেমন চণ্ডালী মুখ তোমার?
যে মুখে হরিনী নারী দেহ বাচাই করে
সিঁদুর আর শাখা দেখে,,,
অন্ধকার তুর্কি নাঁচনের ভূমি বানালে
আপনার ছপ্পলের পশুময় ছায়াতলে?
মদের আসর,জুয়ার ময়দান, নেশার সওদাগর
কেমন করে পায় বলো ,,শুভ্র বসনা
বলো একবার শুভ্র গলায়
এতটুকু তোমার আদর?


কোলে করে রাখো যারে,,,
আদর করে ডাকো যারে,,,
নিজের আঁচলে মুখ মুছাও যারে,,
আপন হাতে খাওয়ায় যারে,,
বচন ভাষণে বাঁচাও যারে,,,
সে যে সন্দেশ খালীর বিভৎস ঘাসফুল
আধুনিক দৈত্য ,আধুনিক কুখ্যাত বখতিয়ার।


তা জেনেও কেন,,,,তোমার মহাত্মা মুখোশে
মুখ খানা এতদিন,,,
ঢাকিয়া রাখিলে তার?


তাই হ্যা হ্যা তাই
মুখ দেখিলেই এবার তোমার।
মনে পরে যায় শুভ্র বসনা,,,,
মনে পড়ে যায় কলমে আমার।
তোমার শুভ্র ভয়ংকর বসনেই
চাপা দিয়ে রাখো সন্দেশখালি
যতনে লুকায়ে রাখো শাহজাহান অন্ধকার।


তাই তোমার বসন তলে কাঁদিতে চাইয়াও
কাঁদিতে পারে না,,,রেখা পাত্রদের
সর্ব হাহাকার ।


#########################
রুবেল চন্দ্র দাস
প্যারিস
০৪/০৪/২৪