সন্দেহ না থাকলে বিশ্বাসের জন্মই হয় না,হুজুর।
অন্ধ চোখের সম্মুখে
কিছুর অস্তিত্ব বিশ্বাস করা মানেই;কল্পনা।


এই সন্দেহ আর কল্পনার চাকায় উড়ে
যে পুস্তক নাজিল হয় ধরাতে,
সে বই আরো কল্পনার আরো সন্দেহের।


কারো কথা মেনে নেওয়ার অর্থই হল
আপনার বুদ্ধির বন্ধ্যাত্ব।
ভয়, কিবা লোভের জাহাজে পা দিয়ে
অন্ধ অনুকরন করা যায়, তবে সত্য কভু নয়।


বিশ্বাস আমার সন্তানে তার না দেখা ভবিষ্যতে
বিশ্বাস আমার চোখের পেছনে,না দেখা জগতে।
বিশ্বাস আমার একান্ত অনুভুতিময় যুক্তি নামেতে
মিথ্যা হয়েও যে সত্যের মত বেচে থাকে হৃদয়ে।


বাস্তবহীন, আলোহীন কালো শুন্য
ফুলও হতে পারে, ফল হতে পারে, রসুনও হতে পারে
তবে কারো কাছ থেকে শুনা, তাকেই পছন্দ করার ঈশ্বর অবশ্যই নহে।
ঈশ্বর আতুর নয় যে তার লাটির দরকার
ঈশ্বর ভিখারী নন,যে তার নির্দিষ্ট নামে নির্দিষ্ট দলের
ডাকাডাকি দরকার।
ঈশ্বর ঈর্ষাপরায়ন নন যে ভিন্ন ধর্মের ধ্বংস দরকার।
ঈশ্বর অমানবিক নন,যে সমকাম ও নারী অধিকারে
খুন দরকার।
ঈশ্বর উন্মাদ নন, যে মূর্তি পুজায় মূর্তি ভাংগা দরকার।
ঈশ্বর অসহায় বৃদ্ধ নন যে তার হেফাজত দরক্কার।


ঈশ্বর ঘরের পুজা, মাছের পুজা,নির্দিষ্ট বর্ণের পুজায়
মাতাল হয়ে কিছু বলেননি ধরায়।
বর্ণলিপি, কালি কলম, সভ্যতার পোশাক আশাক
কিছুই করেন নি  সৃষ্টি এ সভ্যতায়।
মানুষই এনেছে আইন, মানুষই করে আবিষ্কার
ছবি,গান, কনডমিয় জীবন পদ্ধতি।
তাই শুন্যের নাম নিয়ে,ইশ্বরের নাম দিয়ে
এসব নিয়ে  কথা বলা
অদ্ভুত  পাগলামি।


ঈশ্বর ব্যতিক্রম,অনন্ত,অনাদি,অশেষ
ঈশ্বর তুমি,আমি,চারপাশ এই বিশ্বপরিবেশ।
ঈশ্বর কারো পছন্দের নেতা নন,
আবার কাউকে নেতা বানানুর মতলব নন।
ঈশ্বর নির্দিষ্ট ভাষার প্রেমিক নন
ঈশ্বর সব, ঈশ্বর সার্বজনীন।
ঈশ্বর
বিশ্বাসে নহে;
চিত্ত পদ্ধতির কর্ম প্রকাশে
হয়ে আছেন বিলীন।