মানবতার জয় হোক সর্বস্থানে,,,,।কান্নার  অনুভুতি যেন ধর্মের ভেদবিভেদে না হয়,,,,
দুনিয়ার সকল রোহিঙ্গারা শান্তিতে সসম্মানে থাকুক আপন ঘরে,,,।


১)


মালোয়ানী


  রুবেল চন্দ্র দাস


এ জগতে পাঠশালার বারান্দাটাও তাকে করুনা করে নি,
আদর্শের তেলহীন নিভু নিভু বাতিঘর শিক্ষকরাও কভু
মুখ তুলে তাকায় তার প্রতি.....!
সে যেন রাস্তার পাশে পড়ে থাকা কুকুর সন্তান,
সে বাঁচবে,কিবা মরবে
তাতে কি আসে যায় ঐ দালানের ছাদের নিচে থাকা
ভয়ংকর সভ্য আর আর প্রচন্ড ধার্মিক মানুষগুলোর!
বরং নিয়তির কৃপায় সে যে পাচ্ছে বাতাসের অধিকার!
এ কম কিসের?
তা যদি তারা ছিনিয়ে নিত? তা যদি ফেলে দিত আগুন দিয়ে পুড়িয়ে?
কিবা হরতাল- অবরোধের মত সন্ত্রাসীপণায়
মেরে ফেলত রাস্তায় উপর সাপ মারার মত!
তাহলে?


না তাহলে কিছুই হত না।
বিশ্ব সভার রঙের একটু বদল হত না।
দেশে দেশে ক্ষমতায়নের আনন্দ উতসবের কিছুই হত না,,
বেহেস্তগামী সহযাত্রীদের সমবেদনায় কেপে উঠত না;
খেজুর হতে বরফের দেশে বালুর প্রাসাদ।
কোন অরুন্ধুতি রাই দিত না পুরুষ্কার ফেরত
অর্ধ্ব- চন্দ্র মানবতা জেগে উঠার বদলে
মুখে মাংস নেবার প্রতিযোগিতায় থাকত ব্যস্ত।


আর তাই তাকে দেশের প্রধানমন্ত্রীর নাম শিখানো হয়নি,,,
জানানোই হয় নি,সংসদ ভবনটির কথা।
কভু তাকে কেউ বলে নি দেশে পুলিশ বলে  কোন শব্দ আছে!!!
সংবিধান নামে কোন এক পুস্তক আছে।
সে জানে না রাজপথ কী
সে জানে স্লোগানের ধ্বনি কী?
ভাল করে বুঝেই না মন্দিরে কে থাকে?  আর কে থাকে মসজিদে?
তবে সে জানে তার বাবার গলায় মালা আছে
মায়ের কপালে সিঁদুর  আছে।
বাস এতটুকুই! এতটুকুই তার অপরাধ।
সত্যের চেয়ে সত্যমনাদের কাছে অপরাধী  হবার
আর কী কারন থাকতে পারে?
তাই যে বালিকা মায়ের রান্নাঘর কোন ভিন্ন কিছুই জানে না
তাকেই দিতে হল জবাব,,,,বাবরী মসজিদ না রাম মন্দিরের উত্তর?
দিতে হল জবাব অং সান সূচীর?
প্যালেস্টাইনের ইতিহাসের খাদ্য হতে হল স্বদেশে,,,পশুদের সম্মুখে!


কচি দেহের কাচা মাংসে তুষ্ট করতে হল ফেরেস্তাদের,,
জানিয়ে দিত হল কাফেরের মাংসের স্বাদ!!
বুঝিয়ে দিতে হল বিধর্মীর মাংসের স্বাদ!!!
চিনিয়ে দিত হল ইনোসেন্ট আর নন- ইনসেন্ট মারপ্যাচ।
স্বাক্ষর রেখে যেতে হল শ্মশানের কাষ্ঠে পুড়ে পুড়ে
এ মাটি শকুনের লাগি; বর্বর বখতিয়ার হতে আগামিকাল,,,,!
এখানে মূর্তি ভাঙ্গার মত সিঁদুর নিধন এক চেতন - অবচেতনের
গোপন কিবা অপ্রকাশ্য খেলা।
এক ঈমানী দায়িত্ব ধর্মের নামে।
হোক না সে বালিকার পোশাকে নারী দেহ
তবুও তো সে মালোয়ান
এক জগন্য...এই ব- ভূমিতে।


২)


বাঁশ
    রুবেল চন্দ্র দাস


ছোট্ট ঘর,,কাটা বাঁশের ছিদ্র ছিদ্র দেয়াল,
যে বাঁশ কয়দিন আগেও পিঠিয়েছে তাদের!
পুড়িয়েছে জীবন্ত  দেহ,  বেচে থাকার অপরাধে,,!
সেই বাঁশই আজ ছায়া দিচ্ছে তাদের?
সেই বাঁশই মায়া দিচ্ছে স্বপ্ন দিচ্ছে এক চিমটি বায়ুর।


কেন?
এ বাঁশ কী রক্ত পিপাসু নয়?
এ বাঁশ কী জীবন্ত ১১ জন পুড়ায় নি বাঁশখালীতে?
তবু এ বাঁশ কাউকে না কাউকে তো দিচ্ছে হাসি...
আল্লার  হয়ে দাড়াচ্ছে আল্লার পাশে।


কিন্তু এ বাঁশ যে শিখাচ্ছে ছবি আঁকা ,,,
রঙ পেন্সিলে সাদা পাতার সাদা বুকের মাঝে
সেথায় সকল কচি প্রাণ আঁকছে একটি বার্মিজ ঘর
একটি বার্মিজ আঙ্গিনা
আর সেথায় ভুল করেই একে দিচ্ছে
বাংলার পতাকা।


*********************************
রুবেল চন্দ্র দাস
প্যারিস
২৩/০৯/১৭