১)


কেন এত মনে পড়ে?
আমি কী নদীতে স্নানরত চাঁদ,,,,
যে আমাকে দেখে জ্যোতস্নার কথা মনে পড়বে?
আমি কি শিশিরের গায়ে লেগে থাকা দুর্বা?
যে আমাকে দেখে মাটির কথা মনে পড়বে?
আমি কী তোমার চুলের ফিতা,,,
নাকি চোখের কাজল?
যে আয়নার কথা মনে পড়ে?
তাহলে কে আমি?
কেন মনে পড়ে তোমার এই আমাকে?


নুপুরকে জিজ্ঞেস করেছ? কানের দোলকে?
তোমার ওড়নাকে জিজ্ঞেস করেছ?
তোমার পা ছোঁয়া  আলতাকে?
ঠোটের লিপস্টিককে জিজ্ঞেস করেছে?
কে আমি?
না কি বুকের কাঁপন  দেখেই বুঝে নিয়েছ,,আমি তোমার রাত,,,
আর রাতের শত সহস্র পবিত্র গোপন ভাষা।




২)সিঁদুর  পাঠিয়ে দিব প্যারিস থেকে,,,
পরে নিও কপালে,,,সিথিতে।
নদীর মত একে দিও,,রক্তস্রোতা নদী।
ভাবিও এই তোমার পরিণতি; অনুভুতির।
মীরার দেহে কৃষ্ণ তিলক চিহ্ন!


তুমি আয়নাকে স্পর্শ করে ছোঁয়ে নিও আমায়,,,
পালঙ্কের উপর এক বাটা পান রেখে,,,
বুঝে নিও আমায়,,,।
পাশের বালিশটাকে ইচ্ছেমত ভেবে নিও আমি।
মশারীর গায়ে হাত লাগলেই বুঝে নিও কিছু আবদ্ধ দুষ্টুমি।
তুমি রাতের আধারে হাত বাড়িয়ে  শুন্য বাতাসে জড়িয়ে ধরিও আমায়,,,!!
সিথির সিঁদুরে নিয়ে নিও তোলে ভার যৌবনের।
যদি পদচিহ্ন না থাকে কোথাও আমার।


-----রুবেল চন্দ্র দাস
        প্যারিস