না না,,গ্রাম কভু জলের ভেতর হতে
শামুক খোঁজে বের করতে,,,
নামে নি জলে।
কভু পাথরের ভেতর হতে
কিট বের করার চিনে নি শপথ,,,
রাজপথে কভু দাঁড়ায়নি ফুল হাতে রাজ হতে
কভু  বিষমুখী সাপের লেজ ধরে দেয়নি টান,,
ভাবে নি বীন হাতে হবে সাপুড়িয়া,,,
বুঝে নি বিজ্ঞাপন কি? পোস্টার কি?
কী বিলবোর্ড আর দেয়ালিকা।


গ্রামে কভু পাখি ছাড়া শিয়ালের হাক ছিল না,,
গ্রামে কভু নদীর কলকল ধ্বনী ছাড়া
ইট পাথরের মেলা ছিল না,,,
ছিল না মুখোশ পরে মহারাজা হবার স্বাদ,,,
গ্রামে প্রেমের রান্না হত হাড়িতে,,
ভালবাসার গান হত, ভাষার স্রোতে।
গ্রামে গলায় গলায় ছিল পঞ্চসুর,,,
বুকে বুকে ছিল রামায়ণ ভ্রাতৃত্ব,,,
ছিল সুখের সাথে দু:খের,,,
দু:খের সাথে সুখের পিরিত,,,।


না না না,,সত্যি করে বলছি
গ্রাম এখনো চিনে না রাজধানী কতদূর!
চিনে না বক্তব্য কেমনে দেয় সংসদ
কেমনে অলি গলি দিয়ে হেটে বেড়াতে হয়
ঢাকার  পথে পথে,,,
এ গ্রাম চিনে না,
চামারের হাতে কেমনে জন্ম নেয় চামড়ার,,
কেমনে গর্ত বুকে জমে থাকে
বিষাক্ত রস,জলের নামে!
এ গ্রাম চিনে না এখনো
কীভাবে পরতে হয় শতরঙ্গি শাড়ি
নানান মঞ্চে,নানান ঢঙে,,,
নানান ব্যালকোনিতে কীভাবে
দাঁড়াতে হয় ঘর নামে ভরসা নিয়ে,,।


গ্রাম সাধু চিনে,, চোর চিনে না,,,
গ্রাম মানুষ চিনে ভন্ড চিনে না।
গ্রাম ফেরেস্তা চিনে,শয়তান চিনে না।
গ্রাম সুর চিনে কিন্তু অসুর চিনে না,,,,
তাই বলে অসুর সাজতে চাইবে সুর মুকুট পরে,,,
নিজের কবজে গেথে রাখবে গ্রাম
আপন কুরুক্ষেত্র সম্মুখে,,,
যজ্ঞের আহুতিতে ঢেলে দিবে পুরো গ্রাম,,
রথের চাকার গতিতে,,,
তিলে তিলে উগলে দিবে বিষ গ্রামের
ধমনী পথ ঘাটে,,।
সরল বনে গরল সভ্যতা নিবে বাস
মহামান্য হয়ে,,,!!


ওরে গ্রাম,ওরে শান্ত নিরিবিলি বুকের প্রাণ
ঘুম থেকে উঠ জেগে উঠ সাহসে,,,
দানের পথে যে আশা পাঠাচ্ছিস
তিলে তিলে করতে শহর ভ্রমণ,,
ভিখারী ভেবে ভাবছিস যাকে
নারায়ণ।
সে যে রাম নয়
আস্ত এক রাবণ।
মহারাবণ।।
ছুড়ে ফেল ছুড়ে ফেল তাকে,,
কাল হতে গ্রাম গ্রাম হয়েই থাক
গ্রামের সাথে,,,।
যতই বদলাক সময়,,
সময়ের পথে কিবা বিপথে।