আমি হয়তো যোগ্য নই তোমার,,,
কিন্তু আমার হাতে সাজিয়ে রাখা বিছানা?
সেও কি যোগ্যতা হারালো?
একটি নয়, দুটি নয়,,
তিন তিনটি সন্তানের জন্মদোয়া পড়েছে
এ বিছানা,,,
অথচ আজ তুমি কদাচিৎ মেহমান!!


আচ্ছা তুমি কি জানো,,তুমি রাতের বেলা
যে তোয়ালেতে শরীরের ঘাম মুছ,,,
সেটিতে আমি ঘ্রাণ নেই বার বার,,আহা কি মিষ্টি!!
তুমি কি জানো পানের পিক যেখানে ফেল তুমি অবহেলে,,,
সেথায় আমি হাত লাগিয়ে মুছি আনন্দ খেয়ালে,,
জানো কি,,আজ বিছানার পাশে রেখে দেই,,,
এক কলস ঠান্ডা শীতল বরফ,,
ভাবি এই বুঝি তুমি আসলে,,,এই বুঝি বললে
এক গ্লাস জল দাও,,দাও আমার মুখে ঢেলে,,,
এই তপ্ত দেহ শীতল কর প্রিয়ে,,,
আর আমি তখনি
আমার উরুতে বরফ রেখে লজ্জিত তনুতে,,
নুপুর ছোঁয়া জল তরঙ্গে শীতল,
হ্যা শীতল করছি তোমাকে,,!!
তুমি সর্প ওষ্ঠে ছুঁয়েছ আমার পা,,
জোকের রক্তহীন পিপাসার চুমুতে
রক্তধমনীতে মিশিয়েছ মরিচ,,,
মিশিয়েছে রাজ্যের সমস্ত ষড়যন্ত্র,,


আমি উত্তাল হই,, আমি পাগলিনী হই,,,
আমি জানালার গ্লাস ভেঙ্গে রক্তাক্ত হাতে
ছোঁয়া নিতে চাই বাতাসের,,,
জড়িয়ে ধরতে চাই অক্সিজেন,,,,
কিন্তু একি!!!  কিন্তু একি?
বাতাসের বুকে আমি আমারি মত আরেক নারীর
ভয়ার্ত সুখের চিৎকার শুনি,,,
শুনি চুড়ি ভাঙ্গার উল্লাসী শব্দ
আর আবদ্ধ বোতাম খোলার গান,,,
যে গান তুমি আমাকে শুনিয়েছিলে আপন বলে
আপন সুরে আপন কায়দায়
আপনার পুষ্প শয্যায়,,,,।


ভয়ে কেঁপে উঠে বুক,,
ভাবি এ আবার কোন নতুন বিছানা চলেছে
আমারই মত অযোগ্য হবার পথে,,,!
এ আবার কোন কবুল আয়োজন চলেছে
কেবল জন্মদোয়ার রোগে।
ওরে থাম,,,থাম ধরনী,,থাম,,,
বিছানা আর করবে কত তালাকের পথ,,,
এক চালার নিচে থাকা মানেই নয়
একত্রে থাকার শপথ!!
##############
রুবেল চন্দ্র দাস
প্যারিস
১০/০১/১৮