আমার জন্মের পর থেকে
নত সময়ের হাত টি ধরে ,
বেড়ে উঠার সাথে সাথে ...
একটি স্বপ্নের সোনার বাংলা
আমি শুধু তোমায় খুঁজি ...
আর বোবা কান্নায় দু'চোখ বুঝি ।
ঘুম ভাঙ্গা ভোরের নীল প্রহরে ...
বহু কালের সাক্ষী বোবা এই শহরে ,
লক্ষ শহীদের নীরব আর্তনাদে
লাল - সবুজ পতাকার তলে দাঁড়িয়ে ,
সোনার বাংলা আমি তোমায় খুঁজি ...।।
আর বোবা কান্নায় দু'চোখ বুঝি ।।
পিচ- ঢালা পথের প্রতিবাদের মিছিলে ,
হাজার কণ্ঠের শ্লোগানে ...।
কতো তাজা রক্তে ভেজা রাজপথে
একুশের প্রভাত ফেরীর স্রোতে ,
সোনার বাংলা আমি তোমায় খুঁজি ...
আর বোবা কান্নায় দু'চোখ বুঝি ।
চৈত্রের খরা রোদে পুড়ে পুড়ে ,
কখনো শ্রাবণের বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে ...
গৃহহীন নর- নারীর শুন্য ভিটায় ,
জল কামানের প্রতিটি ফোটায়
শহীদ ভাইয়ের শুকনো রক্তের ভাজে,
বিরঙ্গনা বোনের বিবর্ণ কষ্টের মাঝে ,
শ্যামল বাংলার সবুজ পাতায় ,
শতো শহীদের রক্তে রাঙ্গানো
সোনার বাংলা তোমায়
কেনো হয় না সাজানো ।
আমার সব ভালোবাসা কেনো হয় চূর্ণ ?
আমার স্বপ্নগুলো কেনো হয় না পূর্ণ ?
মুক্তির কারাগারে জীবন - মৃত স্বপ্নগুলো
কেনো মুখ থুবড়ে পড়ে--- ?
চারপাশে উঁকি দিয়ে যায় কতো শতো শহীদের লাশ
শুনি কেবলই ঘূর্ণি ঝড়ের পূর্বাভাস ।
তবু ও সোনার বাংলা আমি তোমায় খুঁজি ।
আর বোবা কান্নায় দুচোখ বুঝি ।।