আমি রক্ত জবা দেখেছি -
রক্তের মতো লাল ।
আমি ঐ দূরের অসীম আকাশ দেখেছি
কষ্টের মতো নীল ।
আমি হৃদয়ের যন্ত্রণা অনুভব করেছি
অজগরের বিষের মতো বিষাক্ত ।
আমি যুদ্ধ দেখেছি -
বহু মৃত্যুর মাঝে ।
আমি এই বাংলার বুকে -
এক মুঠো সবুজ ঘাস দেখেছি
দেখেছি শীতের সকালে ঘাসের
ডগায় ডগায় মুক্তো শিশির বিন্দু ।
আমি রংধনুর রঙ দেখেছি -
সাত রঙ্গা শাড়ী পরা ।
আমি সূর্য দেখেছি -
চৈত্রের খরা তাপে উজ্জ্বল আগুনে ,
আমি নাম না জানা বহু ফুল দেখেছি
ফাল্গুনের বসন্ত ফাগুনে ।
কি অপরুপ সেই পুষ্পরাশি ।
আমি গভীর সমুদ্র দেখেছি
কখনো উত্তাল আবার কখনো শান্ত ।
সেই সমুদ্রের ওপাড় হতে সূর্য উদিত হওয়া
আবার অস্ত যাওয়া ।
চন্র , সূর্যের সোনালী রুপালী আলোতে
প্রতিটা ঢেউয়ের তরঙ্গে তরঙ্গে
সমুদ্রের রঙ বদল হয় ।
আমি গানের পাখি দেখেছি
গাছের সবুজ ডালে গান গায়
আবার দু ‘টি ডানা মেলে উড়ে বেড়ায় ।
আমি বাদল বেলার বৃষ্টি দেখেছি-
ঝরে অঝর ধারায় ।
আমি চাঁদের হাসি দেখেছি
মোনালিসার হাসির চেয়েও সুন্দর ।
আমি ঝর্না দেখেছি -
বিশাল পাহাড় বেয়ে নামে ।
আমি দুঃখিনী মায়ের কান্না দেখেছি
দু’ চোখের কোণে ।
আমি নীরব ভালোবাসা দেখেছি
হতাশা ভরা মনে ।
পৃথিবীর নিষ্ঠুর আঘাতে আঘাতে
সুন্দর জীবন থেকে হারিয়ে যায়
কতোনা রোদেলা দুপুর ।
আমি মন ভাঙ্গতে দেখেছি
দেখেছি মন ভাঙ্গা হাহাকার ।
আমি মানুষ দেখেছি
অমানুষ , স্বার্থপর ।
কিন্তু আমি মানুষের ভালোবাসা দেখিনি
দেখিনি ভালোবাসার হৃদয় ।