আজ আমার কলম দিয়ে শব্দ না বেরিয়ে
আগুন বেরুলে ভালো লাগতো;
বারুদ বেরুলে আরো ভালো হতো-
অন্তত গোটাকয় তো পোড়াতে পারতাম।


সব কিছু জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দিতে ইচ্ছে করে;
আমারই সামনে আমার মা-বোন ধর্ষিত হয়,
আমি বৃদ্ধ পিতা- রিকশাওয়ালা;
আমি অসহায় ভাই- অবুঝ কিশোর;
আমার অসহায় আর্তনাদ বাতাসে মিলায়
আমি কিছু করতে পারি না; আমার হাত পা বাঁধা।


আমার দুই নেত্রী ক্ষমতা ভাগাভাগি করে;
আমার মা, আমার বোন- দুই নারী
অন্ধকার প্রকোষ্ঠে ইজ্জত হারিয়ে বোবা কান্না করে।


ধর্ষণে হাহাকারে হু হু করে কেঁদে উঠে
আরেক মা- মাতৃভূমি মা। ক্ষত বিক্ষত সারা অঙ্গ।
ব্যথা বেদনায় মুখ লুকিয়ে থাকে;
কোথাও তাকানোর সাহস হয় না
কেবলই চোখের সামনে ভাসে-নেতা নেত্রীর রঙ্গো ঢঙ্গো।


আমি আমার মায়ের বেদনা ঘোচাতে পারি না;
আমার বোনের অসহায়ত্ব দূর করতে পারি না;
আমি রিকশাওয়ালা, অবুঝ কিশোর
এমনিতেই আমি অসহায়; তার উপর হাত পা বাঁধা।


আমার মায়ের, আমার বোনের আর্তনাদ ফিরে ফিরে আসে
আমার জননী মাতৃভূমির বলৎকার করছে- নষ্ট রাজনীতি;
আমি সাধারণ জনগণ- বিচারের বাণী নিভৃতে কাঁদে
নষ্ট রাজনীতির ঘেরাটোপে আবদ্ধ বিচারালয়
আমার জন্য 'কানুন কি হাত বহুতই লম্বি'।


আমি ফরিয়াদি; কিন্তু কার কাছে করব ?
বিধাতা সহায়।
আমি বিচার চাইতে আসি নি- উপরে যিনি আছেন তিনি করবেন।
আমার সব কিছু পুড়িয়ে দিতে ইচ্ছে করে;
আর কি করব আমি; এই তো অসহায়ের আস্ফালন।


রুবু মুন্নাফ
১০-১২-২০১৩
নবাব কাটারা, ঢাকা।