একটু একটু করে সে তার নিজের অবস্থান তৈরি করেছে।
আমারই অজান্তে। আমার সরলতায়।
সেটা মহাযন্ত্রণাদায়ক!
অগ্নিদগ্ধ করে মন-মগজ সকল সৃষ্টিকর্ম,
মেধা প্রতিভা পার্র্থিব অপার্থিব সমূদয়।
একটি সবুজ বৃক্ষকে আগুনে পোড়ালে
তার ভবিষ্যত বলে আর কী থাকে?
শোণিতের রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবেশ করে।
তার প্রজ্জ্বলন হতে মন বিরত হয় না।
হাজার চেষ্টা করেও রেহাই পাওয়া যায় না।
ভোলা যায় না। দূরে যাওয়া যায় না।
দোষ তার নয়। দোষ আমারই।
সে তার নিজের জায়গায়ই ছিলো।
আমি আমার সীমাবদ্ধতার কারণে
তার নিকটবর্তী হয়েছিলাম।
তার থেকে শীতলতাও আসা করা যায় না।
জীবনবাজি রেখে যখনই মৃত্যুর চেয়ে
তাকে প্রাধান্য দিয়েছি, তাকে করতে পেরেছি প্রতিহত।
তবে কিছু অমোচনীয় দুঃখের চিহ্ন অঙ্কন করে গেছে।
সুখের কোনো চিহ্ন নেই তাই সময় সবকিছুকে
ভুলিয়ে দিয়েছে সহজে ।
একটু একটু করে আজ তাকে ভুলে গেছি।
মাঝে মাঝে মনে পড়ে।
তার উত্তাপ সব দগ্ধ করে দিয়েছিলো।
একটু একটু করে সে নিজেই নিষ্প্রভ হয়ে গেছে।
মাঝে মাঝে মনে পড়লে একটু ঝলছে উঠি।
সবকিছু দূর করে দিয়েছিলো।
একটু একটু করে সে অনেক দূরে চলে গেছে।
গোলাকার পৃথিবীতে মাঝে মাঝে সীমানায় আসে।
অস্থির হইনা। মাঝে মাঝে আৎকে উঠি!
কিভাবে এতোটা সইবার সক্ষমতা পেলাম!