তাফসিরুল কোরআন মাহফিল, অথচ
কল্পিত কিচ্ছা কাহিনী শোনায় আলিম,
অধিকাংশই নবীর অনুসারী নয়, পার্থিব
লোভী ইয়াজিদের তল্পিবাহক জালিম!


সূচনালগ্ন থেকে সুমহান ইসলামের উপর
হিংস্র নখর দন্ত বসিয়েছে কত বেইমানে।
সফল হয়নি, হারিয়েছে ঈমান, পরিণত
হয়েছে চির অভিশপ্ত শয়তানে।


শেষ রক্ত বিন্দু দিয়ে রক্ষা করেছেন যারা,
আলোচনায় আসে না তাদের শান মান,
দ্বীনের মালিক, আদর্শ যারা, পবিত্রতা
রক্ষায় যাদের রয়েছে লক্ষ কোটি অবদান।


তাদের কথা গোপন করা হয়, এমনই
অকৃতজ্ঞ কূপমণ্ডুপ পাপিষ্ট মুসলমান।  
মুসলমান শব্দের অর্থ আত্মসমর্পণকারী,
প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে দিকভ্রান্ত পেরেশান!


জান্নাতের নেত্রীর গৃহে অগ্নিসংযোগ কে
করেছে? তাঁর পাজর ভেঙেছে পদাঘাতে!
পিতৃবিয়োগের পরে পৈতৃক সম্পত্তি ছিনিয়ে
নিঃস্ব করে কে দাঁত বসিয়েছে তাতে?


কার নির্দেশে জান্নাতের নেতা ইমাম হাসান
বিষ প্রয়োগে করলেন শাহাদাতবরণ?
কারবালার মরুপ্রান্তরে ইমাম হুসাইন অসহায়,
হাজার তীর সহ্য করে লড়েছেন আমরণ!


বিবি জয়নুব, শিশু সাকিনার কারাগারে নির্মম
শাহাদাতের খবর কী রাখে পেটুক মোল্লা?
শিশু আলী আসগরের গলায় তীর বিদ্ধ
মোল্লা গলাধকরণ করে পায়েশ রসগোল্লা।


ইসলাম রক্ষার জন্য পবিত্র নবী বংশের
কেউ কখনো শান্তিতে ছিলেন না একদণ্ড
তাঁদের জীবনে শান্তি ছিল না বিন্দুমাত্র
পার্থিব সকল কাজ সহায় সম্পদ পণ্ড!


আহলে বাইতকে ভালোবাসা ঈমানের অংগ
আল্লাহ ঘোষণা দিয়েছেন পাক কালামে।
তাদের ভালোবেসে গুণাবলী আলোচনা করলে
নির্বোধ মুসলমান গালি দেয় "শিয়া" নামে।


আহলে বাইতকে ত্যাগ করে কোন্ জান্নাতে
প্রবেশ করবে ভেবে কী দেখে একবার?
মাথার উপর কে চাপিয়ে দিয়েছে এতবড়
অভিশাপ? তা হতে কীভাবে পাবে নিস্তার?


যারা দ্বীনের ভিত্তি এবং দ্বীন রক্ষাকারীগণের
জর্জরিত করেছে নির্মম অত্যাচার আঘাতে,
কতিপয় নামধারী মুসলমান তাদেরকে নির্দোষ
নিশ্চিত করতে সংগ্রাম করে যাচ্ছে দিবারাতে।


আহলে বাইতকে নিয়ে আলোচনা করলে
বড় বড় পাণ্ডার সব কুকীর্তী বেরিয়ে আসবে,
তাই সাহসে কেউ মুখ খোলে না, বড় বড়
নেকীওয়ালা জঘন্য অপরাধে ফাঁসবে।


তাই দ্বীনের আলোচনাগুলো অহেতুক কিচ্ছা
কাহিনী দিয়ে শ্রোতা হাসিয়ে করে সময়াতিক্রম,
নির্বোধ মুসলমান অনুভব করে না মাথার পর
কত বড় অভিশাপ, তার ভাঙবে কখন ভ্রম।


ইসলামের দুঃসাহসিক বিজয় এসেছিল কান্না
কোরবানী আহাজারি মিছিল শোকের দ্বারা,
আজ সময়ের দাবি, সাহস করে চিরসত্য
উপস্থাপন করে সমুন্নত রাখতে তার ধারা।