পতি এই ভেবে সব সয়, "একদা হবে সংশোধিত",
ফলদায়ক হয় না, বহু সময় হয়ে যায় অতিবাহিত।
প্রকৃত মাতা সন্তানের মুখ পানে চেয়ে নিজের কথা
ভোলে, সন্তানের ভবিষ্যৎ ভেবে দেখায় উদারতা।


সে কেমন মা? শুধু নিজের স্বাচ্ছন্দের কথা ভাবে?
অয়ানক স্বার্থপর, বুঝায় সারাক্ষণ আছে অভাবে!
সন্তানদের কথা ভেবেও নিবৃত হয়নি তাদের মাতা।
তার মনে শুধু নেই নেই নেই, আছে শুধু অকৃতজ্ঞতা।


সামনে সমূহ বিপদ, বহু প্রশ্ন, মেলে না উত্তর।
জীবন বাঁচাতে সিদ্ধান্ত বদলায়, হলেও কষ্টকর!
একদিকে জীবনের ঝুঁকি, অন্যদিকে সন্তানদের
ভবিষ্যৎ বিপন্ন, এ পরিস্থিত থেকে মুক্তি দুরূহের!


কোমলমতি সোনামনি কতো আদরের ধন,
মুখে চাঁদের হাসি বাবার বুকে মানিক রতন।
তাদের প্রাণ খোলা হাসিতে আলোকিত ভুবন,
রঙিন পাখা মেলে ওড়ে প্রজাতির মতোন।


আদর সোহাগে করে কতো মধুর জ্বালাতন,
বাবার কাছে তারা প্রাণের চেয়েও আপন।
খেলাধুলা গানে মাতিয়ে তোলে বাড়ির প্রাঙ্গন,
পড়াশোনা আদর্শে করবে বাবার স্বপ্ন পূরণ।


প্রজাতির পরশে কংক্রিটের নির্জীব ভবন-
কতো না সৌভাগ্য, পেয়েছে বর্ণিল জীবন।
হঠাৎ একদা আচমকা এক দমকা হাওয়ায়,
পরিপাটি পরিবেশ ভেঙে তছনছ হয়ে যায়।