মর্মান্তিক লঞ্চ ডুবি হল মাওয়ায়
কারণ অতিরিক্ত যাত্রী যাওয়ায়!
লঞ্চটি ছিল গত বছরই মেয়াদোত্তীর্ণ
যাত্রী বইতে অক্ষম, দেহ তার জীর্ণ!

নদীতেও ছিল শুনলাম সতর্ক সংকেত
জানি না নদী মাঝে বসে ছিল কোন্ প্রেত!
আমার তো চির স্বভার, মানি না শৃঙ্খল
গােড়ামীর জন্য সব কিছু হয় নিষ্ফল!

কর্তৃপক্ষেরও নেই তেমন ধরা-বাঁধা নিয়মই
যা থেকে মানুষ হবে সদা সংযমী।
লঞ্চ ছিল আশি জন বহনের উপযোগী
সেথা তিনশ উঠে হল নির্মমতার ভুক্তভোগী!

সকলের ব্যস্ততা, মনে সব ত্বরা
কেউকি জানত এমন হবে মরা!
মানুষগুলো ডুবলাে নদীর তলে
নদীর পানি মিশল অশ্রুজলে!

মোরা আর দেখব কত এমন করুণ ছবি!
সামান্য অসতর্কতায় হারাতে হয় সবই!
এ নির্মম পরিহাস মানতে সবাই বাধ্য
কিন্তু একটু ধৈর্য রাখতে হয়না সাধ্য!

আর কত দেখব এমন অসহায় মরণ
নিজের মৃত্যুকে স্বজ্ঞানে সবে করল বরণ!
অকূল নদীতে এ এক কঠিন নিষ্ঠুর পরিহাস
জীবিত মানুষ গুলো ক্ষণিকেই হল লাশ!

এদেশে বাস করে কি লাভ বল
অকারণেই মানুষ গুলোর মৃত্যু হল!
নাগরিক জীবনে এদেশে একটি ভাগ
গরীবের জলে কুমির, ডাঙায় বাঘ!

আর কত মায়ের বুক এভাবে খালি হবে
আর কত দিন স্বজনেরা শোকে কাতরাবে!
আর কত অভিজ্ঞতার আছে মোদের বাকী?
এত মৃত্যু দেখেও হুশ হয় না নাকি?

এত দেখি তবু শিক্ষা হয়না কি বা!
অপমৃত্যু ধরেই আছে আমাদের গ্রীবা!
জীবন বাঁচাতে মোরা হইনা তৎপর
সবকিছু খোঁয়া গেলে ছুটাছুটি অতঃপর।

০৬/০৮/২০১৪ খ্রিঃ