"নিন ভাই,"
      নো থ্যাঙ্কস্,
           "কি যে বলেন ভাই!
জীবনে প্রথম এই কোন আর্টিস্টকে দেখলাম
                              সিগারেট টানেনা,
রেল রোডের নেংলা গাজা খায়,
শালা যা ছবি আঁকতে পারে না! মাথা নষ্ট!
অনেক ইনকাম করেও জীবনে কিছু করতে পারল না,
সদুও ভালো আর্টিস্ট
হেরোইন খেয়ে জীবনটা একেবারে শেষ করে ফেলেছে,
শুনি ওর বউ নাকি এখন বিড়ি পেচিয়ে সংসারটা চালায়!
কলেজ মোড়ের মারুফ ভদ্রলোক, ঔ সিগারেট টানে।
আপনি যে কি! ঘোড়ার ডিম, কিছুই খান না!
আপনাকেই ব্যতিক্রম লাগল
আরে ভাই একটু আধটু না খেলে আর্টিস্ট আর্টিস্ট লাগে?
না মাথায় ভাল থিম আসে?"


"আমি ভাই শুধু ওই রং চা টা-ই খাই।
(মনে মনে বলি) সবকথা তো আর মুখে বলা যায় না।
আমারও একটা তীব্র নেশা আছে, শিশুর যেমন মাতৃদুগ্ধের প্রতি,
সাইনবোর্ড লেখা, ছবি আঁকা, ডিজাইন করার হঠাৎ নেশা ওঠে!
তপ্ত রোদ, তীব্র শীত, গরম, বজ্রবৃষ্টিপাত মাথায়
মাঠে কাজ করার সময় নেশা ওঠে,
মাঠ থেকে ফিরে পাকস্থলি হজম করা খিদেই
অন্ন দেওয়ার আগে নেশাভাঙ করতে হয়!


আগে নেশা করতাম গোপনে
এখন মাঠে, ঘাটে, বাজারে, উপসানালয়ে
সময় অসময় নেই নেশা ওঠে,
তিমির রাত প্রতিবেশী সত্ত্বার সান্নিধ্যে, নেশা চাপল,
সন্তর্পণে উঠে পাশের ঘরে গিয়ে নেশাভাঙ!
জীবন ধারণের তাড়তায় অনেক নবজাতক নেশাকে
মনের মাঝেই দাফন করেছি।
ভুলেই গিয়েছিলাম নেশা কি!
আবার কিছু অদ্ভুত নেশাখোরের সাক্ষাত পেয়ে
উন্মত্ত হয়ে উঠল পঞ্চেন্দ্রীয়
আমার নেশার উন্মত্ততা আজ দেশের গন্ডি পার হয়েছে।


তোমাদের জলন্ত সিগারেটের ধোঁয়া
ক্ষণিকেই হাওয়ায় মিলিয়ে যায়
আর আমার সিগারেট দিয়ে রক্ত বের হয়
তা দিয়ে আঁকা হয় ছাপান্ন হাজার বর্গ মাইলের বৃহৎ চিত্র,
তোমরা নিভৃতে কিছু দামী মদ ইত‌্যাদি পান করে উল্লাস কর
আর এদিনটাকে স্মরণ রাখ ফ্রেম বন্দি অতীতকে সমৃদ্ধ করতে,
আর আমরা লক্ষ নেশাখোর নেশাভাঙ করি এক টেবিলে
আমরা ভুলে গেলেও পৃথিবী মনে রাখে..."