আমি কিশলয়, একদা নির্জনে সজ্জিত ছিলাম,
তোমার সবুজ শাখায়,
কত চৈতালী রোদ মেখে ছায়া দিয়েছি তোমাতে
আমি দাবদাহে অকুণ্ঠ রুক্ষ্ণ,
তোমার শরীরে দিয়েছি, আহ্লাদী বাতাস!


সেদিন ভেবেছিলাম এই সবুজ শাখায়-ই আমার চিরসমাপ্তি,
হায়রে অকৃতজ্ঞ ভালোবাসা আমার!
অবোধ শিশুর মত একবারও ভাবলে না আগামীর কথা!
নিজের ভেতরেই নিমজ্জিত রইলে! অতীত ভুলে এক নিমেষে।


একটু মেঘের ছায়া চেয়েছিলাম, শিলাবৃষ্টিতে ঝরিয়ে দিলে!
হেমন্ত দেখার আগেই, নির্মম তাচ্ছিল্যে!
প্রতিদানে শতছিন্নতা বুকে ধারণ করে
নির্বাসিত হয়েছি, ধু ধু প্রান্তরে দামাল হাওয়ায়!


বুকের ভেতর কার জন্য ভালোবাসা পূঞ্জীভূত রেখেছো?
কুঞ্জুসের গচ্ছিত সম্পদের মত!
কী লাভ তাতে? উইপোকা খেয়ে সাবাড় করবে।
টিনের কৌটায় মরীচা লেগেছে সময়ের পরিক্রমায়!
তোমার ভালোবাসা আজ প্রাচীন মূদ্রার মত!


তোমার অজ্ঞতার অলিখিত কলমে আমার নাম মুছেছো?
না কী সচেতন উপেক্ষায় দূরে ঠেলেছো?
বড় জানতে ইচ্ছে করে!
আমাহীন শূন্যতার নির্জনতা কী নাড়া দেয় তোমার দুয়ারে?


রচনা : ২৭.০৩.২০১৫ খ্রিঃ