কোনোদিন এতটুকুও পাই না বিশ্রাম,
পেলেও নানা কাজে ছুটি সারা গ্রাম।
বাজারে তো একা যাবার পাইনে কোনো মানে,
বাবারে আবার নিতে হবে দ্বিচক্রযানে।


এত খাটুনির পর আবার সন্ধ্যারাতে,
যেখানে থাকেন আনতে হবে সাথে।
এখন তো এক রকম মরি আর বাঁচি,
বাবার উপদেশ পালন করে ভালোই আছি।


সারাদিন ভূত খাটুনির পর সন্ধ্যাবেলা,
অবসন্ন শরীর, আসে সবকিছুতে হেলা।
তার মাঝে রোজ পড়ার তাগিদ দিতো,
জীবনটা একেবারে হয়ে যায় তিতো!


ইচ্ছে করত বই-পত্র সব পুড়িয়ে ফেলি,
সহ্য আর হয়না এসব ডেলি ডেলি!
তবুও অতি কষ্টে এক এপ্রিল মাস,
পরীক্ষাগুলো দিতে আমার উঠলো নাভিশ্বাস!


রাতের বেলা শুয়ে শুয়েও বিদ্যাহরণ করি,
আমি টিভি সিনেমার কভু ধার নাহি ধারি।
এমনই জীবন পরীক্ষার ফল জানারও পাইনি সময়,
গাঁয়ের লোক জিজ্ঞেস করলে পড়ি খুব লজ্জায়!


অবশেষে গাঁয়ের লিয়াকত স্যার গিয়ে বিদ্যালয়,
ফলাফলটা জেনে এসে জানান তিনি আমায়।
বয়স আমার একুশ বছর এখনো করিনি বিয়ে
মাথায় তাক লেগে যায় এসব ভাবতে গিয়ে।


এখনই তাই বুকটি ভরে নিতে পারিনা নিঃশ্বাস
বুকে নিয়ে থাকব সুখে কী করে করি বিশ্বাস?
আমার কথা সব বললাম রাখলাম না বাকি
দোয়া করো মোরে সবাই যেন ভালো থাকি।


০২/০৩/১৯৯৮ খ্রিঃ ।