পিতার স্নেহ মায়ের আদর বুবুর ভালোবাসা
দশ বছরের ছোট্ট শিশুর ছিলো কতো আশা
বাবার হাতের তর্জনীটা মুষ্টি করে ধরে
হাটাটাতো শিখে ছিলো বত্রিশের ঘরে।


হাসি-খুশি দুষ্টমিতে কাটতো যে তার বেলা
পায়রা ভালোবাসতো যে খুব ; তাদের সাথেই খেলা
তিন চাকার এক সাইকেল তাকে দিয়েছিলো বাবা
বলেছিলো ; হও বড় হও আরো অনেক পাবা।


ভাইয়া ভাবীর আদর স্নেহ ছিলো নাতো অল্প
মায়ের কোলে ঘুমোত রোজ শুনে বাবার গল্প।


দেশটা গড়তে ব্যস্ত বাবা মায়ের মুখে শুনেছে
সোনার বাঙলা দেখবে বলে নিত্য প্রহর গুনেছে।


সবার চেয়ে বেশি ভালো হাসু বুবু বেসেছে
একটু খানি ব্যথা পেলে রেহানা বু কেঁদেছে
সবার ছোট ছিলো বলে অধিক স্নেহ পেয়েছে
বাবার থেকে দেশটা গড়ার দীক্ষা নিতে চেয়েছে।


নিজকে গড়ে গড়বে এদেশ ছিলো যে তার পণটা
শিশু হলেও শেখ রাসেলের উদার ছিলো মনটা।
সব বাঙালির হৃদে গাঁথা আছে যে সেই ক্ষণটা
মুছে দিতে চেয়ে ছিলো শেখ রাসেলের পণটা!


পঁচাত্তরের পনের আগস্ট কেমন করে ভুলি
মায়ের পাশে শুয়ে রাসেল বুকে নিয়ে গুলি
শেখ রাসেলের রক্ত দেখো বাঙলা জুড়ে পাবে
এই রক্ত নয়তো মোছার ; ভাবছো মুছে যাবে!


সব বাঙালির অন্তরে আজ শেখ রাসেলের বাস,
কুলাঙ্গারের বুক কাঁপে আজ হয় যে নাভিশ্বাস।



২৭ আগস্ট ২০২২ খ্রিস্টাব্দ
ঢাচিশাভি।