মানুষ চায় মানুষ গ্রীষ্মে বর্ষায় শীতে;
চাই পার্বণে, চাই নির্জনে।
অহরহ মেপে দেখে রগরগে দেহ মুখ,
পদ্মের মতো প্রস্ফুটিত নাকি তলোয়ার মতো ধারালো;
খুঁজে ফেরে তাকে যাকে
পেলে ভোলা যায় ভূলোক, খুলে মন দেয় নিরালা।
ঝর্ণাধারা যেতে চায় নদীপথে, মিলেমিশে বিলীন হয় সাগরে একাকার;
বুকের জ্বালায় গলা শুকায়, তৃষিত হৃদয় তার আশায়।
তখন অদূরে যেনো রবীদা গাইলো,
হাড় চিড় চিড় হয়ে হৃদয়ে হৃদয়ে বাজায় মাদল—
সুখের তরে প্রেম চেয়ে প্রেম মেলেনা,
জীবন থেকে জীবন হারায় এই ছলনা।
হিসাবের ছক কেটে ছুড়ে ফেলে আমাদের,
ভালোবাসা জায়গা পেয়েছে আস্তাকুঁড়ে—
যতই দাঁড় করাও কাঠগড়ায়, দোষী মেনে দাও ফাঁসি;
সইবো, ভালোবাসি বলবো; প্রেমে মজেছি, বাজি ধরিনি।
ব্যর্থতার যন্ত্রণায় জ্বলছে হৃদয়, দাবানলে পুড়িয়োনা কলি ও ফুল;
বুকের বাপাশে কাঁটাতার হৃদয় পেঁচিয়ে, তবুও ধ্রুবতারা হয়েই ভালোবাসি।
“এটি মূল কবিতা ‘নিরুদ্দেশ জয়যাত্রা’ এর ২য় অংশ।”