কই তুমি আমাকে ডাক নি তো পড়ন্ত বিকেলে
বারেবার এসেছি ফিরে তোমার দুয়ারে;
রিক্ত হস্তে হৃদয়টা দেবো বলে।
না না, ভেবো না,আমার শাশ্বত প্রেম;
পিছুটান ফেলে তবেই ফিরেছি;প্রেমের কুঞ্জবনে।
বিলাবো উষ্ণ ভালোবাসা প্রিয়র তরে।
অপরাহ্নের গরম চায়ে ওষ্ঠ রেখে, বাঁকা নয়নে ;
মৃদু হেসে ভরিয়ে দিও উথলা মন।
প্রতিশ্রুতি নয় শোধ করবো শত জন্মের লালিত -
স্বপ্নময় বাসরের সেই সুরেলা গীতের ঋণ,
যা মিশে গিয়েছিল তেপান্তরে;
রাখালের বাঁশির সুরে।
পাখিরাও নীড়ে ফেরার পথ ভুল করেছিল;
সাগরের ঢেউ থেমে গিয়েছিল;
নীলাকাশের চাঁদটাও পুলকিত হয়ে
অমাবস্যায় জ্যোৎস্না দিয়েছিল ।
মনে কি পড়ে সেই স্মৃতিময় দিনগুলো?
নাটকের রিয়ার্সেল বাদ দিয়ে-
অপলক নয়নে তাকিয়ে থাকতে;
স্যারের ধমক খেয়ে গলা শুকিয়ে যেত
তখন আমার কাছেই পানি চাইতে।
কী অদ্ভূত! হাস্যকর লাগতো ;তাই না!
আজ কেন এতো গম্ভীর সাঁঝবেলায় ?
বলছো নাতো- একটু কাছে বস সুরঞ্জনা!
কবিতা লেখ।কবিতা লিখতে ছন্দ লাগে না;
কিন্তু কবিকে ছন্দ জানতে হয়।
লিখ ,দুঃখবোধের কল্পকাহিনী।
একটি কবিতা আবৃত্তি কর -
নজরুলের ,রবীন্দ্রনাথের,সুকান্তের
কিংবা নির্মলেন্দগুণের ।
আমি আকাশের বুক চিরে ডাকছি,
ফিরে এসো সোনালী অতীতে;
আবৃত্তি ,গান ,পুঁথি শুনাবো প্রাণের সখা।
আজন্ম তোমার অপেক্ষায় জেগে আছি ....
ফিরে এসো শঙ্খচিল হয়ে মানুষের পৃথিবীতে।