হৃদেয়র তীর ভাঙে বিরহের ঢেউয়ে।
নিঃস্ব আজ তোমার ওয়ি প্রিয়া মন হারিয়ে..।
বিরহ হারিণী রূপে এসেছিলাম তোমার দরজায়।
জীবনে কত শত ললনাকে ভালোবেসেছো,
প্রাণ উজার করে ।
বেরবতী,মম,চন্দ্রমুখী,চন্দ্রাবতী,
প্রিয়তি,রাধিকা,লাইলী,
রাজলক্ষ্মী আর ও কতো কে!
আমি হতে চাই না তাদের অনুসারী ।
তাই ইচ্ছে জাগে তোমার হৃদয়টা ব্যবচ্ছেদ করার।
ঠিক কজন প্রেমিকা আছেন ?
আমার নামও কি আছে কোনো অলিন্দে?

তুমি বিলাতে পার তোমার বিমল প্রেম,
আকুতি,ভালোবাসার জ্যোতি,
তোমার ওয়ি প্রিয়াদের।
কিন্তু আমার হৃদয় স্বল্প বিস্তরের নয়।
সেখানে তোমার সবটুকু ভালোবাসা রাখার জন্য যথেষ্ট।
ক্ষত-বিক্ষত হৃদয় বা তার শেষাংশ নয়।
ক ফোঁটা অশ্রুজল আজ যেভাবে ঝরছে ,
তা সমুদ্রের জল থেকে কম নয়।
কিন্তু হৃদয়ে যে রক্তক্ষরণ হচ্ছে তার কি পরিমাপ হয়?
চুপসে গেছি আজ বেলুনের মতো।তুমি তা শুনে হাসলে!
আমি নাকি বেলুন নই নদী।
সকল আবর্জনা বুকে নিয়ে বয়ে বেড়াই;হয়তো তাই।
হয়তো এটাও ঠিক ,মিথ্যে তোমার বিমল প্রেম,
মিথ্যে তোমার হিয়া,মিথ্যে তোমার ভালোবাসা,
মিথ্যে প্রেমের ছায়া।
প্রেমের সাগরে ভাসতে ভাসতে আজ ভিখারিনীর ঘাটে।
তোমার কৃষ্ণলীলায় যখন এ হৃদয় ,
চৈত্রের দহনে ফেটে চৌচির।
তবুও বারবার ঘুরেফিরে নয়নের মণিতে ,
তোমারি ছবি ভেসে উঠে।

আমি বিভোর,ক্লান্ত মন নিয়ে হতাশার সাগরে
ভাসতে ভাসতে দিশেহারা।
তুমি যখন বলো আমিই তোমার প্রিয়তি ,
আমিই তোমার ভালোবাসা।
তখন মনে হয় তুমি আমাকেই ভালোবাসো।
হয়তো ভালোবাসো!
কিন্তু তা আবেগ ছাড়া কিছুই নয়।
শুধু আমার মনের কল্পনা।
অনন্ত পথে মনকে তাই বলি-
নাইবা হলাম তোমার সহযাত্রী,
নাইবা হলাম সুখের সারথী,
নাইবা হলাম তোমার প্রিয়তি!

তবুও পোড়া হৃদয় তোমাকেই ভালোবাসে।
এই বেহায়া মন তোমাকেই ভালোবাসে।
তোমার পথ পানেই চেয়ে থাকে।
যখন দিনের শেষে পাখিরা তাদের নীড়ে ফিরে।
তেমনই তোমার ভালোবাসার অপেক্ষায় অবিরত।
তোমার হাসিতে ভরে যায় বুক,
তোমার দুঃখে ভেঙে যায় ।
তোমাতেই খুঁজে স্বর্গসুখ।

অবলীলায় বলি “হৃদয়ের কথা”-
তোমাকে নিয়েই আমার এক কল্পনার স্বপনবাস...