ধুত্তোরী ছাই,কি যে হেয়ালী তোমার বুঝি না!
ভাঙা কলমের জোর সে তো ক্ষনিকের ন্যায়
অস্থির জলতরঙ্গের লীলাখেলা বহুরূপী।
আমার মনোভাব কিন্তু বেশ,ক্ষয়ে যায় না
সিঁথানের পাশে পেলে বাড়ে শতগুণ জানো?
অপলক দৃষ্টিতে দরিয়ার স্পন্দন পৌঁছে;
শিরা-উপশিরায় তা নিত্য নৃত্যে বুঝো কি তা!
হৃদপ্রকোষ্ঠে প্রেমানল জ্বলেই ধিকিধিকি
প্রশ্বাসে কার্বন ডাই অক্সাইড আর যত
বাষ্পীভূত বিষাক্ত কলিজা পোড়া ধোঁয়া ।
বাক ‍রুদ্ধ হয়, স্তব্ধতা আমায় ঘিরে ধরে
বেহালার করুণ সুরে।তানপুরায় দুঃখ ;
মোহনবাঁশি নিশীথে হেঁটে বেড়ায় গহীন
মনের আঁধার অলিগলির চৌকাঠে আসে।
ক্লান্ত শ্রান্ত ফেরারী ঘুমেরা জাগে নিরন্তর
তবুও এসেছি কালের স্রোতে খেয়া বেয়ে
দু’চারটা চরণে,স্তবকে প্রিয়কে খুঁজতে;
লিখব প্রেমবিরহী কাব্যের মানসপটে
গভীর বেদনাময় অমাবস্যা রাতে কেঁদে
খসেপড়া তারার ছন্নছাড়া জীবনের গল্প।
আসশ্যাওড়ার ন্যায় হতাশার সমুদ্রে ডুবে
শ্যাওলাজলে প্রাণত্যাগে নয়;শিকড় বিস্তরে
বাঁচতে এসেছি বিমলতায় নতুন পৃথিবীতে।