- রূপন্তি!!
- কতবার বলেছি ;আমি রূপন্তি নই।
  একটু মনে করার চেষ্টা কর;
  সেই যে শৈশবে বকুল পুষ্প তুলতে যেতাম;
  কাক ডাকা ভোরে;মন্দিরে ঘন্টা বাজত।
  শরিষার হলুদ মেখে লুটপুটি খেতাম
  আম বাগানে লুকোচুরি,বউিচ খেলা;
  প্রচন্ড ঠান্ডায় রাত জেগে যাত্রাপালা,মঞ্চ নাটক;
  ফেরার সময় মতি চাচার খেজুরের রসচুরি;
  মনে পড়েছে সখা!ঠিক মনে পড়েছে ,তাই না!
  জানতাম দুজেনর মধুর স্মৃতিকে,
  বিস্মৃতি করতেই পার না।
  এই সম্পর্ক কখনো বেদনাবিদুর হতেই পারে না।
- ধুর রসিকতা করও না তো।
- আমি কি স্মৃতিভ্রষ্ট?
  রূপন্তি !দেখেছো শরতের ঝকঝকে আকাশে
  একঝাঁক পাখি উদ্দেশ্যহীন ভাবে উড়ছে।
- হ্যাঁ,দারুণ লাগছে প্রিয়,কিন্তু?
- কিন্তু কি?
- ওদের সাথে আমাদের পার্থক্যটা কি জানো?
- বল,শুনছি!
- ওদের নীড় আছে ;অনেক মানুষের নেই।
  সবার নীড় থাকেনা।গাছতলায় তারা সুখ খুঁজে নেয়।
- যেমন ?
- যেমন আমরা মানুষ,পাখি নই।
  রূপন্তি মানুষ চাইলেই নীড় গড়তে পারে না।
  কিন্তু পাখিরা পারে।
- ফের আবার রূপন্তি!ভাল্লাগে না।
- ইদানিং ...
- কি?বাক্যটা শেষ কর।
- না থাক ,ভাবছি ..
- কি ভাবছ?
- ভাবছি আমাকে;
- তোমাকে কি বল?
- ঐ নামেই ডাক।
- হঠাৎ !
- ভেবে দেখলাম ভালোবাসার মানুষ
  যে নামেই ডাকুক তাই মধুর।
- যাক,অবশেষে মানলে।ধন্যবাদ প্রিয়তি।
- আবার নতুন নাম কেন?
- ঐ যে বললে ..
- ও আচ্ছা ঠিক আছে।
- জানো,মাঝে মাঝে আমি ও ভাবি ।
  তোমাকে অনেক ভালোবাসি
- এটা ভাবার কি আছে?
- আছে তুমি বুঝবে না।
- বুঝাইলেই বুঝি;
- ভাবি তুমি সত্যিই খুব ভালো।
- ভাবনায় এ বিষয়;কি আজীব?
  আমি তো মানুষই নই।
  আমাকে নিয়ে ভাবার তেমন কিছু নেই।
- তবে তুমি কি বল?
- তুমিই বল;
- না তুমি
- ঠিক আছে।
- প্রিয় তুমি যদি হতে..
  শঙ্খ চিল আকাশের বুকে!
  দিবানিশি ডেকে যেতে
  কুঁড়ে ঘরের চালে।
  চেয়ে চেয়ে দেখতাম তোমায়
  অপলক নয়নে ...


- ধুর পাগলী !