একটা শাড়ির দাম অনেক।
বইয়ের মতো কিছুই মনে নেই।
মলাটের মতো আগলে রেখেছি গন্ধস্মৃতি।
আইসক্রিম থেকে বরফকুচি চুরি করে নিলে
হাত ভর্তি দোল খেলা রঙে।

উচ্চারণ ভুল হলে আদেশও ভুল হয়।
কিন্তু পদোন্নতি আটকে যাওয়ার ঝুঁকি নিতে নেই।
ফলে উপপাদ্য বাদ দিই উপন্যাসে হাত দিই।
বরাভয় মুদ্রার প্রাপকের মিছিলে
মরে যায় গাছ। ছায়া নয় তক্তা চাই বাজারে।

ম্যারাথনে যারা প্রথমেই এগিয়ে যায় তারা শূন্যহাতে ফেরে।
শুধু ডিগ্রীর কাগজে কিচ্ছু নেই। সহজলভ্য জিনিষটা সন্দেহযোগ্য।
সীতার কোনও লিঙ্গ নেই। মরে যেতে চায় নব্য যুবক।
হাতে পাথর। মনের অস্তিত্ব খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে
ফোঁটা ফোঁটা নিংড়ে আগেই নিয়েছিল সমাজের ঊর্ধ্বতনেরা।

দোষারোপ একটা জমজমাট খেলা। দল ঠিক করে নিই।
কে বেঁচে থাকল তার দায়িত্ব কেবলমাত্র তারই।
আজ তুবড়ি জ্বালাও চরকি ঘোরাও।
শিকড় আলগা হয়ে আসে। ঝুরোমাটি, চুপ, জানলেই ঝড় হবে।
খুন শব্দটি নিহত হয়ে গেছে দিনের বেলায় একটি চলন্ত মানুষের পায়ের তলায়।

একটা শব্দ হঠাৎ অচেনা মনে হয়।
আবার বলি। বারবার আউড়ে যাই, তিনটি অক্ষর ঘাঁটি।
আর স্টেজে উঠে মেয়েটি অনেকদূর থেকে এসেছে আমাদের গান শোনাতে,
সুতরাং আমাদের দাবী মানতে হবে।
একজনের বেঁচে থাকার দাবী হেরে যায় অন্যজনের আরামের দাবীর কাছে।

আইন আদালত শুধুমাত্র সভ্য মানুষের জন্য।
কারণ সভ্য মানুষেরা মুখের কথাকে তো ধর্তব্যের মধ্যে আনেই না
উপরন্তু লিখিত প্রতিশ্রুতিরও খেলাপ করতে পিছপা হয় না।
কিন্তু যাদের আইন আদালত নেই
সেইরকম জগতের অনুমোদনও নেই।

গোত্র মিলিয়ে খোলস বদল হয়।
একটা শাড়ির দাম অনেক।
গোপন একটা দেখা হয় খুনের আগে।
আমরা অনেক খাই
কিন্তু রোজ বাঁচার জন্য রোজই খেতে হয়।

মুটে মজুর রাস্তায় খাটে।
চাকর পোষার মতো পশার নেই।
তাই বেড়ে গেছে বিশ্লেষণ।
ফুটেছে, ফুল পাতা ও ফলের গন্ধ শনাক্তকরণ হলে
একটা ক্ষুদ্র জীবন হোক দোমেলা নারকেলের শাঁস।

একটা হাত উপুড় আশীর্বাদ খুঁজি।
আমার ক্ষয়ে গেছে দাঁত নোনাধরা দেওয়ালের মতো।
অখণ্ড পরিবার একটা স্বর্গীয় সুখ।
বয়স হলে ঋণ শোধ দেব।
এখন পাখি বিদ্যুতের তারে বসে দোল খায় হিংসে জাগায়।
১০
অভিযোগ আজকাল বায়নার মতো।
একরাশ রক্ত মেখে এসেছি
তোমরা এখনও ভাবছ আজ বুঝি বা বসন্তোৎসব।
ভুলে গেছি কীভাবে সভ্য থাকা যায়।
একটা শাড়ির অনেক দাম পাওয়া গেছে নিলামে।