খুব যে মুখে গালে রঙ মাখিয়ে দিচ্ছিস!
বাকী সময়টা কোথায় থাকিস?
রোদে পুড়ছি, বর্ষায় ভিজছি, শীতে কাঁপছি ঠকঠকিয়ে,
আর আজ বসন্ত নামের আইডিটা গলায় ঝুলিয়ে,
সোজা ধাঁ করে, নিরাপত্তার বজ্রআঁটুনি ডিঙিয়ে,
অন্দরমহলে সেঁধিয়ে গেলি!
একগাদা প্রেম, কোকিলের কুহুতান এনে ভুলিয়ে দিচ্ছিস যে বড়!
আমি তো মরে যেতেও পারতাম?
এসে দেখতিস কেউ নেই, ফাঁকা - একটা বাড়ী, দুটো বাড়ী,
কয়েকটা পাড়া, হাজারটা দেশ -
ছবি আঁকার লোক নেই, কবিতা লেখার লোক নেই,
গান গাওয়ার লোক নেই। তোর গন্ধ ধরে রাখে যারা,
তোকে রাজা বানাল যারা - এখন তোকে বেশী করে চায়।
গাছে ফুলে পাতায় রঙ তো তুই দিতেই পারিস,
কিন্তু শীত গরমের যে গরমিল চলছে, খোঁজ রাখিস?


ওপাড়ায় গেলি? দেখলি? কেমন মড়কমুখী মন!
ওদের হাসি কান্না কোনটাই যেন পরিশ্রমলব্ধ নয়-
কিছুই যেন চাই না, সুখে থাকলেও সন্দেহ করে-
কেউ মাথায় হাত বুলিয়ে খাঁচায় ভরতে চাইছে না তো!
আগে বেশ হইহুল্লোড় হতো-
এখন কি জানি সবই গা সওয়া যেন-
দুঃখের জ্বালা সহ্য করতে গিয়ে চামড়াটা এতো পুরু এখন,
সুখগুলোও তেমন মাতাতে পারছে না-


কি রে? এত চিন্তায় পড়ে গেলি কেন? যত গরমিলই হোক,
তুই আসিস না আসিস, তোর জন্মদিন আমরা পালন করবই,
দেখলি তো, কেমন ভগবান থেকে মহাপুরুষে অধঃপতিত হলি।
বাকী সময়টা যেখানেই থাকিস রঙ মেখে নিস মুখে গালে,
হাসি রঙটা বড্ড কাঁচা, তাইতো দামী, ওটাই মাখিস-
ভালো লাগে বেশ-