পুড়াবে কি করে তুমি আছে যে শরীরে
বাধাহীন পথ গেছে অতল গভীরে
স্বপ্নের মধ্যেই শুধু জীবন্ত ললনা
ভালোর সাগরে ভাসে তবু খারাপ ভোলে না
যা কিছু সুখ আছে লুকিয়ে জঠরে
প্রসবের বেদনা ভুগি প্রতিটি অক্ষরে
পেরিয়ে এসেছি কাল দুঃখ যাপনের
বিলিয়েছি অধিকার অসত্য শোধনের
পাশাপাশি বাঁচে স্মৃতি মিত্র ও শত্রুর
শোধরায় ক্ষত শুধু কাপুরুষ ও বুদ্ধুর
অবসান হবে বলে দাবী করে অন্তর
নিপাট সুখের সিঁড়ি কেটে দেয় যম তোর
সামাজিক সুরক্ষা শেষে বাসা বাঁধে কুরুচি
অফুরান পরীক্ষায় কালি চায় কলমচি
জানালা খোলাই থাকে কয়েদীর বিশ্বে
মাগনায় টাকা যাচে মরীচিকা দৃশ্যে
মৃত্যুর মহড়া ঘুমে আনন্দ অনন্ত
জীবনমুখী কিশোর লোভী একলা প্রাণবন্ত
পুণ্য লুকিয়ে রাখে সুহাগ রজনী
ঘুরিয়ে দেখাবো নাক বিপ্লব করো নি !
খসেছে ডানা থেকে ফিনিক্সের পালক
পুঁতেছি নিজেই নিজের কফিনের কীলক
দ্বিধাহীন ক্ষণ কাটে স্বরতি নিবিড়ে
পুড়াবো কি করে তুমি আছো যে শরীরে