বিন্দুর ও নাকি এক বুক জ্বালা আছে
কতকাল বলেছে সিন্ধু !
বিন্দুর ও নাকি চলার পথ আছে রেখা
তোমার ও তো চলার শেষ নেই !
কোথায় যে চলেছো তুমি ?
তবু ওই রেখা অংশে তুমি কখনো-কখনো আবদ্ধ
ত্রিভুজ - চতুর্ভুজ আরো অসংখ্য ক্ষেত্র ।
তোমাতে-আমাতে দেখা হয় ওই কোন একক্ষেত্রে
বলেছিলাম যাবে বন্ধু ;
নদী দেখতে ওই সিন্ধু স্নাণে?
হেসে বলেছিলে আমার আছে জগত সংসার
আমি তো কখনো ছুয়ে দেখিনি দিঘির জলে ।
বলেছিলাম ওহে বন্ধু ;
আঙ্গুলের কড়ে - কড় রাখো
মন রাখো চোখে,
আমি তোমাকে সত্যি নিয়ে যাবো
ওই সমুদ্র স্নাণে ।


পৃথিবী বিমুখ,দেখা দেয়নি সেই চোখ
এটাও কি প্রত্যাশা ছিল না আমার ?
কী বা প্রত্যাশা ছিল পৃথিবীর কাছে
পৃথিবীর মানুষের কাছে,
কী বা প্রত্যাশা ছিল আমার কাছে
তার পৃথিবীর !
অনন্ত বিতৃষ্ণায় ভরে গেছে নিঃসঙ্গ বিন্দু
বিস্ফোরিত এই আমি ;
আমার চোখ - মুখ,হাত - পা
গ্রাস করেছে আজন্ম তৃষিত রেখায় ।


এখন নিজেই নিজেকে চিনি না
ছুতে পারি না নিজের আঙুল !
আমিহীন আমায় তবুও বয়ে বেড়াতে হয়
যেতে হয় মানুষের ভিড়ে আবদ্ধ ওই ক্ষেত্রে ।    চোখ রাখতে হয় চোখহীন চোখে
কথাহীন কথায় মন দিতে হয় ।
সম্পৃক্ততার এই যে আমি ;
বাহুর বন্ধনে প্রেমহীন ক্ষেত্র
তোমাকে কত শত অন্বেষণে
বিতৃষ্ণায় চোখ দিয়েছে দৃষ্টির আত্মহুতি ।
সম্পৃক্ততায় এই কি আমি ?
এই কী আমার প্রত‍্যাশা !
কেউ কি নেই ?
ছুঁয়ে দেখার নিঃসঙ্গ ওই রেখা পথে !
অদৃশ্য অসীমের সঙ্গী একাকীত্ব
তুমি বিতৃষ্ণায় বড্ড পরিহাস করো।
অথচ কী চেয়েছি বলো
দ্বিরীতির এই ধরাধামে
প্রেম কী চেয়েছি - না ভালোবাসা চেয়েছি
না কখনো চেয়েছি করুণা ?
না হয় শুধু অবুঝ রেখো,
খেলা ছলে ওই রেখা পথে ।।