তীব্র দহনে কাতর আজিকে প্রাণ ।
কোথায়  আছে শ্যমলা ছায়া করি তারে আহ্বান প্রতিক্ষণ ।
অম্বর মাঝে নীলাম্বর রণসাজে রবি আজ বড়ই তেজস্বী রশানলে ।
কেহ পারিবেনা আজিকে আমায় পরাজিত করিতে সন্মুখ সমরে ।
ভষ্মীভূত করিব তব রচিত  সাধের গগনচুম্বি অট্টালিকাসম ।  
যে অহঙ্কার তুমি সৃষ্টি করেছ পাতাল হতে ব্রম্ভাণ্ডে,
নিদারুন ভাবে ধ্বংস করেছ মোর সৌর পরিবার ।
শতধিক মানব তোমায় ধিক তব অহঙ্কার ।
জানি রবি বর, এ দোষ মোদের তাইতো
কাতর প্রার্থনা তোমারি দ্বারে ।
নেই কি কনো ক্ষমা তব পদতলে ?
তবুও চাহিয়া দেখো  ক্ষণকাল মেদিনী পর আগামী শিশুরা
লুটাইয়া পড়িতেছে তব চরণে অশ্রু বরিষনে ।
জানি আমি বারে বারে দিতে হবে বলিদান
আগামী মানবের হিতে নইতো আমি অকিঞ্চক ।
কর আহ্বান বর্ষা রমনীকে ধৌত হোক মোর তৃষিত প্রাণ ।
বর্ষা কহে, কেমনে আশা কর সময়ে আসিব
সিক্ত করিব সব প্রাণ ?
চেয়ে দেখো ধরীত্রিকে ধ্বংস করেছ সবুজের ঘ্রাণ ।
বনস্পতি কেটে রচিত করেছ তোমাদেরই শকের বাগান  টবেতে ।
জানি এ দোষ মোদের চিরন্তন,তবুও ক্ষমা কর মোদের শীতল কর ধরনীকে ।
রোপন করিতেছি আমরা সবুজের স্বাদে মালটিস্টোরিফ্লাট ।
আজি প্রাণীকূল বড় অসহায় ক্ষমা চাহিয়া করিতেছে বরন কৃত্রিম আলোর ঘর ।
ক্ষমা কর একটি বার নিয়ে এসো তব শ্যামলীমা অঞ্চল
তারি তলে প্রাণিদল খেলিবে, হাঁসিবে,
বোপন করিবে আগামী ভবিষ্যৎ ।
ভরিবে তোমার মাতৃত্বের স্বাদ ,"মা" বলে দেবে অঞ্জলী ।
আজও তোমরা আমায় বিবশ করিলে ।
ক্ষমা আমি করিব তবে, আসিব না ফিরে
সময়ে  নিয়েছি এই পণ ।
চেয়ে দেখ হে মানব সমাজ পারিবে কি
দিতে আমাদের মত বিলাতে প্রাণ ?
এ হেন নেই  তোমাদের নিস্বার্থ  প্রতিদান  ।