অন্তিম লেখায় একটি কবিতা রচিত হবে
মনে অনেক আশা নিয়ে,
তাইতো লিখে রেখেছিলাম
বেদনাকে খামছে ধরে চোখের জলে ভিজিয়ে।
আজ এইখানে বলার আর কিছু নেই
আছে শুধু আবেগপূর্ণ অজর-অমর ভালোবাসা,
শুধু কবিতার ভাষায় ভিন্ন একরকম
অনুভূতির নদী বয়ে যাওয়া দীর্ঘ দিনের নেশা।


কি আর লিখবো নতুন করে
যা লেখার ছিল আজ সবই প্রকাশিত,
কিন্তু তার কোনো হিসাব পেলাম না
যত ছিল কাব্যের আর্তনাদ সব কিছু এক অবহেলিত।
কেউ লিখেছে অভিমানে নয়তো আবার প্রেমের টানে,
কেউ আবার সংগীত শিল্পী, হয়তো আবার নায়ক নায়িকার বৃষ্টি ঝরছে রেডিও অনুষ্ঠানে।


আজ নেই রবি ঠাকুরের সেই অমর কবিতা
মানুষের মনে, প্রেমিকের ডায়েরির পাতায়,
তাহলে কি করে পড়বে আমি যাযাবরের লেখা
কোন টানে অথবা কোন কথায়।
কারণ, আজ নেই কাজী নজরুলের গান
দৈনিক পত্রিকার এক প্রতিবেদনের পৃষ্ঠায়,
সব ধ্বংসের পথে বিলীন হতে চলেছে
যার জন্য দায়ী আমরাই।


জীবনানন্দ দাশের কবিতাগুলো মুছে ফেলা হচ্ছে
তাইতো নাকি, ঠিক বললাম তো?
মাইকেলের প্রতি গুরুত্ব কমে গেছে
আছে শুধু কত আর মতো।


এখন বাংলা ব‌ই পড়ে পাইনা খুঁজে
আদর্শের ঠিকানা, সত্যের সোফা,
এখন তো পড়াশোনা হয়েছে বটে
কিন্তু কিতাবের অধ্যায়ে শরিফ থেকে শরিফা।