লোকালয় ভাসিয়ে
লোকটার মগজের আরো বাম দিকে একটা সমুদ্র ঢেউ
জেলেরা জমা করছে খড়কুটো
শব্দ না শুনেও মনে হল তার ভেতর কোন রাক্ষুসে মাছ
গিলে ফেলছে নিজেকে
এত দ্রুত ঘটনাটা ঘটে গেল
চোখ খুলে দেখি
তাড়া নাই ভেবে
আমাকে রঙচটা পাথর বানিয়ে বসে আছে এক দরবেশ।
‘তোমার জীবন কত বর্ণময়’ আমি তার প্রশংসা করলাম।
সে উঠে দাঁড়ালো
আর কিছু না বলেই থেকে যাবার
ভঙ্গিমায়
আমাকে মানুষ না করেই
হয়ে গেল অদৃশ্য।
আমার প্রচন্ড রাগ হলো। আমি কাঁদলাম।
তারপর ঢেউগুলো কাছে এলে
দরবেশ ফিরবে ভেবে
প্রত্যাখ্যান করলাম
ভেসে যাওয়া।
তারপর কয়েক যুগ
কেটে গেছে
লোকটার মগজ। আরো বাম দিকে সমুদ্রের ঢেউ। তার একটু পেছনে।
‘হ্যা, এখানেই’
এখানেই দুঃসংবাদ চাষাবাদ করেছে নাবিকেরা।
তারা মুক্ত সাদা দাঁত
ভেজা মাটিতে বসিয়েছিল
পাল চু’য়ে পড়া
জ্যোৎস্নার কামড়...
‘ঘটনাগুলো আপনার মনে পড়ে স্যার?’
দরবেশ একগাল হাসলেন। তারপর বললেন ‘আর কি চাও যুবক?’
আমি এত কিছু চাই নি কখনো
সমুদ্র আলগা করে দাঁড়ানো
একটা নির্জন বাড়ি
উঠোনে গজাবে সুন্দরী গাছ
বিষণ্ণ রাতে বিছানার উপর পড়ে থাকবে
কোন ভিনদেশী গিটার, কিছু পানীয় আর একটা মেয়েমানুষ।
এত কিছু চাওয়ার আগেই লোকটার মগজের আরো বাম দিকে
ডুবে যাচ্ছে এক দরবেশ
তার পিছনে
আশ্চর্য কিন্তু পরিকল্পিত এই ঘটনাটা দেখবে বলে
সাঁতার কাটতে কাটতে
আমার লাশ নিয়ে ভেসে উঠছে
কয়েকটা লেবু হাঙর।
তারা মুক্ত সাদা দাঁত