রঙের ভেতরেই তথাকথিত বৃন্তচ্যুত হয় সভ্যতা
সে রঙেই একদিন ব্যাপক অসভ্য হয়েছিল
জেনে রাখা ভালো, বর্বরেরাও নাস্তিক ছিলো
লালটে তামাটে সাদাটে বর্ণের সভ্যকানারা
তোমাতেও দেখতে পেতো মাটির রঙ
তুমি তো তা নও; ময়েশ্চার পড়া ত্বকে, তুমি কেউ নও
সুতরাং নখরের সন্ধান প্রাচীন গুহাতেও থাকে যদি
আদম শিকারে আমিও হবো খুশি, মোহিত উল্লাসী
এবড়োখেবড়ো দেয়াল, তারো মাঝে এই আমি
বর্বর হতে চেয়ে আঁকি পালক-চোখ, ঝড়ো পাতার মতো
চর্বির হলুদ ফ্যানা, আঁকি আঙুলে, আঙুল খসে পড়ে
নখের মতো তুলি; আবার যাযাবর হই আদম আঁকতে
হাওয়া এঁকে ফেলি; জলরঙে মোম প্যাস্টেল নাচে
ভাবি, একদিন আমিও নাস্তিক ছিলাম সব্যসাচী
একদিন আবার আমার মতো ন্যাংটো কেউ হবে ভূমিষ্ট
সে আমাকে আঁকবে আদম ভেবে, জন্মদানপ্রাপ্ত দোষে
সেদিন তার আঙুলে চোট দেবো, কেটে যাবে
নখর পড়ে থাকবে, আঁকবে, শুনবেনা শালিশ
আমি তুলির মতো নখের লালটে নেইলপলিশ