এই যে অবিশ্বাসী বর্ণমালা দিয়ে গেঁথে চলেছি বুনো শব্দ, ওলট পালট সাজিয়ে নির্দেশ দিচ্ছি বাক্যকে কসরত করার তীব্র গমগমে শব্দের ভেতর,
এই নির্দেশ অবমাননা করবে এমন সাহস আমার অনুগত শব্দসমূহের নেই।
ছ'তলা থেকে লাফিয়ে পড়া একটি সর্বশ্রেষ্ঠ জীবের নামও আমার জন্মাভূত শব্দের অনুসারী; কিংবা জোছনা বিছানো কোনো রাতে বস্তির অসংলগ্ন করিডোরের হাত ছুঁয়ে দিয়ে আর্তনাদ করতে থাকা এক যুবতির পিঠে পড়া শক্ত বেল্টের করুণ শব্দকেও বশীভূত করে তৈরি করেছি বাক্যবিভাজন, কোনো এক কবিতায়।
এতোকিছু নিরর্থক অনুভূতির তাপে প্রসবকৃত শান্ত অবসাদের শাস্তি একসময় আমার বর্ণমালা মাথা পেতে নিয়েছিলো ঠিকই,
কিন্তু অক্ষর, আমার ভবিতব্য পুত্রসন্তান, প্রথম আবিষ্কার করে আমায় বলেছিলো, 'বাবা দ্যাখো, দীর্ঘ বাক্যাংশের অভুল অন্যায় থেকে আমাদের শরীরগুলো কেমন খসে পড়ে যাচ্ছে!'