সে তো রূপকথা ছিল না,
তবে কেন পথ গুলো মিলিয়ে গেলো।
বৃষ্টি শেষে রংধনুর মতো,
আর নস্টালজিক হলো শৈশবের মতো।
তবুও মাদকতা মিলিয়ে যেতে-যেতেও, মিলালো না
থেকে গেলো সবুজ চায়ের বাষ্পে,
কাগজি লেবুর মিষ্টি ঘ্রানে।
আর চেনা-অচেনা উপন্যাসের লেখকের ভাবনায়-কল্পনায়।
যখন জানলার একটু দূরে তেতুল গাছে প্রিয় পেঁচা জাগে নিশি।
মাঝ নিশি, মায়াবী নিশি, প্রহেলিকা নিশি!


এইতো কেটে যাচ্ছে, জীবন।
অনেকটা শরতের নদীতে ভাঙ্গা-ভাঙ্গা ঢেউয়ে মতো;
জীবিত জীবন। শরতের সাদা-কালো হাঁসের মতন।


নদীর দু'ধারে কাশফুলের মেঘে
মিলিয়ে যাওয়া পথ গুলো নিশ্চয়ই ঘুমে;
এইতো আসছে হেমন্তে সকালে নিশ্চয়ই তাদের ঘুম ভাঙবে।
রূপকথার সেই রাজকন্যার মতো।
সে প্রভাতে আমি হয়তো বুক ভরে নিশ্বাস নেবো,
সবুজ চায়ের বাষ্পে, কাগজি লেবুর মিষ্টি ঘ্রানে;
হয়তো আর একটি উপন্যাসে শেষে।
যে উপন্যাসে হয়তো তুমিই প্রধান চরিত্র;
আর আমি হয়তো তার রচয়িতা। প্রহেলিকা!