"দূর্বাঘাস"
শাহাব উদ্দিন ভূঁইয়া(জয়)


দূর্বাঘাসের নিচে শুয়ে
আছো মাগো,
একটু কথা বল,
না হয় একটু জাগো।
তোমার একটু সাড়ার জন্য,
আসি মাগো সবুজ দূর্বাঘাসে,
দূর্বার পাকে পাকে,
কি যেন একটু ভাসে।


শিশির কণার মধ্য ভাগে,
আড় চোখে দৃষ্টি জাগে।
অন্তঃচক্ষুর আর্তহনন,
আর্তনাদ বাড়ে,আর্ত দূঃখ এই নশ্বরে,
দেখাবো কারে।


দেখার মতন নাইতো মাগো
তুমি বিহনে,
তুমিহীনা এই মৃওিকায়
ঘুমাবো কেমনে।
তুমিতো ঘুমিয়ে আছো
সবুজ মৃওিকায়,
দিন গেল,বছর গেল,
যুগ- যুগ যায়।


আশান্বিত জীবন আমার
দেখবো বলে সাড়া,
যুগে- যুগে পেলাম না মাগো
একটু দৃষ্ট সাড়া।
আমি কিশোরী বসে ছিলাম
এতটা বছর।
কখন গেলো গভীর তিমির,
কখন এলো প্রহর।


মাগো দূর্বা ঘাসের পাকে
দেখবো তোমায় বলে,
গভীর তিমির শিশির কণার জলে।
তুমি মহা অভিমান করে ছিলে,
কি দোষ ছিলো বলে।


মাগো অপেক্ষার প্রহর
গুনতে গুনতে আমি হলাম বৃদ্ধা,
আশান্বিত জীবন মাগো
ব্যর্থ কিশোরী যুদ্ধা।
সাড়ে তিন হাত মৃওিকায়
আমি এক পাত্রী,
অবশেষে তোমার মত
আমি মরণ যাত্রী।