নদীর পাড়ে ঝোপঝাড় হিজল গাছে,
দোয়েল শ্যামা শালিক নাচে।
বন বনে নানান ফুল ফোটে আছে,
ধরণীটা সেজে থাকে সকাল সাঁঝে।  


চাষী ভাই একমনে জমি চাষে,
সূয্যিমামা উঁকি দেয় পুবাকাশে।
রক্তলাল ধরণী সাজে বধূবেশে,
সে আমার জন্মভুমি বাংলাদেশে।


ধানক্ষেতে ফড়িং উড়ে নাচি নাচি,  
সরষে ক্ষেতে প্রজাপতি মৌমাছি।
শীত সকালে খেজুর গাছে উঠে গাছি।
মায়ের কুলে সবাই মিলে সুখে আছি।  


ঝলমল শুকতারা আকাশে জাগে,  
দেখা যায় রবি উঠার অনেক আগে।
সকাল বেলা পাখির ডাক মধুর লাগে,  
মোহনীয় ফুলের সুবাস কুসুমবাগে।  


অগ্রাণে পাকা ধান মাঠে মাঠে,
চাষীরা সব হর্ষে মেতে উঠে।
ভাল লাগে নতুন চালের পায়েস পিঠে,  
ছেলেরা সব খেলার মাঠে যায় ছুটে।  


মিলেমিশে সবাই আছি ভাতে মাছে।
ভালবাসি তাদের আমি-
দেশের তরে জীবন দিয়ে যারা গেছে।  
সকল দেশের রাণী সে যে আমার কাছে।
এমন দেশ আর এ ধরাতে কোথায় আছে?