দশ জানুয়ারি রহিমের বাবার কুলখানি আজ,
মাথা তাঁর গরম আছে, হাতে আনেক কাজ।
বাড়ি ধানমন্ডি, ফকির আনতে পেরোতে হবে গন্ডি।
ফকির আনতে যাবেন হাইকোর্টের মাজার।
জানেন তিনি সেখানে আছে মিসকিনের বাজার,
সেখানে আতুর, অসহায় আছে হাজারে হাজার,
যেই কথা সেই কাজ, গেলেন হাইকোর্ট মাজার।
গিয়ে দেখলেন সারি সারি ফকির চিন্তা নেই তাঁর,
সুধালেন, “আমার বাবার কুলখানিতে তোমাদের-
দাওয়াত দিচ্ছি, কে কে যাবে আমাকে বল এবার।”
আয়োজনে পোলাও, গরু, মুরগী, অনেক খাবার,
পেট ভরে খাবে যত ইচ্ছা, খাবার অনেক প্রকার।
বয়স্ক এক ভিক্ষুক বললেন তাঁরে, “শুনেন স্যার,
আমরা সময় পাইনা খেতে এ ধরণের খাবার।
নিয়ন্ত্রণের বাইরে আমরা কিছুই করতে পারিনা,
আমাদের আছে পাহারাদার ও কঠিন সরদার,
আমাদেরকে নিতে হলে অনুমতি নিতে হবে তাঁর।”
এ মুহূর্তে চলে এলো ভিক্ষুক দলের সরদার।
“এতক্ষণ আমি শুনেছি আপনার সব কথা স্যার,
কতজন ভিক্ষুক দরকার আপনার? শর্তে যদি-
আপনি থাকেন রাজি,নিতে পারবেন ভিক্ষুকদের।
যাতায়াত ও সময়ের দাম ৫০ জনে পাঁচ হাজার।”
রহিমের চক্ষু চরকগাছ, একি শুনলাম, কী ব্যপার!
সরদার বলল, “এর চেয়ে বেশি কিছু করলে চাকুরি-
হারাব আমার, দেখেন চিন্তা করে কী করবেন এবার,
এইটুকু করতে পারি, এটি সিন্ডিকেটের নির্দেশনা।
এই আইন সারা শহরে, কোথায়ও ভিক্ষুক পাবেন না।
তবে সুন্দর একটি বুদ্ধি আমার নিতে পারেন আপনি,
খরচ না করে প্যাকেট করে নিয়ে আসবেন বিরিয়ানি।”