রাতে ঘুম নেই, কখন সকাল হবে?
আগামী কাল যে চৈত্র সংক্রান্তি,
সকালে উঠে মাকে এনে দিতে হবে
তিতা শাক গিমা ও নাইল্লা পাতা।
তেলে ভেজে চৈত্র সংক্রান্তির সকালে
খালিপেটে সবাই খাবে ভাতের সাথে।
পেট ভাল থাকবে,খাবারে রুচি হবে,
শুনেছি বড়দের মুখে।
দুপুরের আগেই জলদি গোসল করে  
মেলায় যাবো সবাই মিলে বাবার সাথে।
প্রতি বছর চৈত্র মাসের শেষদিন
মেলা বসে পাগলা বাজারে,
বাড়ি থেকে দেড় মাইল অদূরে ।  
হাজারো রকমের খেলনা, খাবার জিনিস,
আর কারুশিল্প ও লোক শিল্পের সমাহার  
মনের মত খেলার জিনিস কিনে নিবো
খাবো ইচ্ছে মতো যার যা মন চায়।
প্রথমেই কিনেছি ঘুড্ডি, পরে বন্দুক
আর কিনেছি বাঁশি,বল,চকরি ও বেলুন,
এরপর মাটির খেলনা ঘোড়া, ষাঁড়, মহিষ,
সবাই খেয়েছি রসগোল্লা, জিলাপি ও গজা।
বাড়ির জন্য কিনেছি মুড়ি-মুড়কি, বাতাসা
আর নিয়েছি তিউল্লাসহ নানা রকম খাবার।
আরও অনেক খেলনা-খাবার কিনেছি
নিজের জমানো টাকা দিয়ে সবার অগোচরে।
এবার মন অস্থির বাড়ি যাবো আসরের আগে।
দেখবো কে কত খেলনা কিনেছে মেলায়,
মাঠে ঘুড্ডি উড়াবো এটাই ছিল বড় নেশা।
পল্লি গ্রামের প্রকৃতির সাথে মিশে শৈশবে-
উপভোগ করেছি আমরা যা,
এ যুগের শিশুরা পারে কিনা তা জানিনা।
এখনো বার বার মন চায় পল্লির টানে
চলে যাই শৈশবের সেই মেলায় গ্রামে।