শৈশব-কৈশোর থেকে তোমাকে দেখি,
তেমন কিছু মনে হয়নি কখনও।
হঠাৎ বহুদিন পর তোমাকে দেখে-
লজ্জা পেয়ে গেল আমার দু’চোখ।
কারণ বুঝতে পারিনি, ভেবে দেখি-
তুমিও আমাকে লজ্জা পেলে।
এখন তুমি আগের মতো নেই,
প্রজাপতি,ফড়িং ধরে দিতে বলোনা আমায়,
গাছের পাকা আমটি দেখে চাওনা আর।
দশ টাকার নোটটি আমার কাছে গচ্ছিত রাখনা।
তোমাকে দেখে চেনা যাচ্ছে না।
তুমিও কী আমার মতো আমাকে
দেখে লজ্জিত? চিনতে পারছ না?
কেন অস্থির হৃদয়ে এতো তোলপাড়?
তোমার জন্য মনে এক ধরণের শূন্যতা।
ভাবি আর ভাবি, বেড়ে যায় হাহাকার।
তোমাকে বলতে চাই, মুখোমুখি নয়।
কাগজ-কলম নিয়ে বারবার লিখি আর ছিড়ি।
কী লিখব? খুঁজে পাইনি, চেষ্টা করি শতবার।
হৃদয়ের সাথে যুদ্ধ করে জয়ী হয়েছি এবার।
লিখেছি, “ তোমাকে ভাল লাগে আমার।”
জানি, লেখাটি হাতে পৌছেছে তোমার।
জানতে ইচ্ছা করছে ব্যাকুল চিত্ত আমার।
উত্তরে লিখেছো, “প্রেম করার ইচ্ছে নেই এখন,
তুমি কোন চিঠি লিখবেনা আমাকে আর।”
কিন্তু জেনেছি, জিজ্ঞেস করেছো অনেকবার।
আর কি কি বলেছি তোমাকে তা জানবার,
প্রথমে বলেছো কয়েকবার, লেখার কী দরকার?
পরে এমন হলো, না লিখলে ভাল লাগেনা আর।
চিঠির পর চিঠি, হৃদয়ে হৃদয়ে হয়েছি একাকার।
ত্রিশ বছর পর মনে হয় এখনও তোমাকে লিখি,
কে আছে কোথায়? কেউ জানেনা মাঝে পারাবার।