এক সে ভিলেন জন্ম নিলেন রাজস্থানের গ্রামটাতে--
নয় অবতার তবু যে  তার  জাদু ছিল  নামটাতে;
রামের সাথে রহিম জুড়ে দেয় যে ধোকা চোখটাকে,
এই ধরাধাম দেয় 'বাবা' নাম 'ভেকধারী এই লোকটাকে।


বাবা সেজেই খুব সহজেই প্রভাবশালী তকমাতে
হন ভূষিত এই 'সাধুজন' , শিষ্য মেলে সব জাতে।
ভোটে জেতান ফিল্মও বানান, সবাই অবাক কীর্তিতে;
সব তলিয়ে কেউ দেখে না, কেঊ ভাবে না ধীর চিতে।


'সাচ্চা সওদার' গুপ্ত গুহায় কেউ শোনে না কান পেতে,
সোনা কি আর হাওয়ায় ফলে সোনা ফলে ধান ক্ষেতে!
পাপের ক্ষেতে কি চাষ হতো দেখলো যে এক সাংবাদিক--
দেখেই তিনি ভিরমি খেলেন, জ্ঞান হারালেন দিক-বিদিক।


বিভব দেখে তাক লেগে যায় একশো একর মাপটাতে--
বিশাল প্রাসাদ গুপ্ত গুহা হাজার কোটির ছাপ তাতে;
কাঁচের ঘরে থরে থরে সাজানো সব শিষ্যাতে;
আঁতকে ওঠে মুর্দা যত কান পেতে এই কিস্যাতে।


বাদশা-নবাব পায় না জবাব এমন বাবার কুর্সিতে;
হারেম ভরায় শিষ্য-গোলাম, হুকুম শোনে ফূর্তিতে--
"শিষ্যা আনো এমন যেন চটক থাকে লুকটাতে",
হায়রে কপাল কি কলিকাল দেখছি ধরার বুকটাতে!


সাধ্বী তারা নামেই কেবল, শয্যাসাথী কামটাতে--
কেউ শোভা পায় ডাইনে পিছে কেউ শোভা পায় বামটাতে।


এই বাবাজি করতো রাজি  'মাফি'র নামে ধর্ষণে--
কোন্ মায়াতে ভুলতো ওরা মানতো এমন দর্শনে?
দিনে রাতে বেলেল্লাতে লুচ্চা-লোফার হার মানে;
প্রতিবাদে যে জন কাঁদে, হুকুম আসে 'মার  জানে'।


'বাবা' নামের কলঙ্ক সে, শত কণ্ঠে জানাই ধিক,
আরও যারা এমন বাবা , মুর্দাবাদে ভরাই দিক।