দিনের কর্ম-প্রবাহ পেরিয়ে,সকলের সব চাহিদা মিটিয়ে
নিদ্রাদেবীর সাধনায় একাগ্র চিত্তে শয্যা-মন্দিরে নিমগ্ন যখন
ঠিক তখনই যে মুখটা ভেসে ওঠে,
সে-ই তো সবচেয়ে প্রিয়?


টিভির পর্দায় জমজমাট অনুষ্ঠানের স্বাদ নিতে নিতে
হঠাৎ যখন মনে হয়,বিশেষ কেউ যদি পাশটিতে বসে
উজ্জ্বল চোখে মেখে নিত খুশির কাজল!
সে-ই তো সবচেয়ে প্রিয়?


ইঞ্জেকশনের মোটা সূঁচ শরীরে ঠেকিয়ে প্রবেশ করাতে উদ্যত নার্স,
ঠিক তখনই বন্ধ চোখের অদৃশ্য পর্দায় যে মুখটা ভেসে উঠে
ব্যথা ভুলিয়ে দেয় বেমালুম,
সে-ই তো সবচেয়ে প্রিয়?


জ্যোৎস্না-ধোয়া রাতে কোকিল যখন হঠাৎ ডেকে ওঠে,ছাদের
খোলা বাতাসে উদাস হতে হতে রজনীগন্ধার মালা খোঁপায় জড়িয়ে
ডানা মেলে যাকে উড়ে আসতে দেখি,
সে-ই তো সবচেয়ে প্রিয়?


মিলিয়ে দেখেছি বহুবার, একটাই মুখ ভেসে ওঠে বার বার,
কত কাল আগে কোন এক সন্ধিক্ষণে  দুজনের কক্ষপথ
মিলেছিল ক্ষণিকের তরে,


সংস্কারান্ধ চালকেরা রকেটে জ্বালানি ভরে নিক্ষিপ্ত করে দিল তারে
অন্য গ্রহের অভিকর্ষ-বলয়ে।


আমি রয়ে গেলাম আপন কক্ষপথে চাওয়া-পাওয়ার রাবীন্দ্রিক সূত্র মেনে।