এক সময় সুকুমার রায়, সুনির্মল বসু প্রমুখ বেশ কয়েকজন কবি হাস্যরসাত্মক কবিতা লিখে পাঠক মন জয় করেছিলেন।কাজী নজরুল ইসলামও 'লিচু চোর'-এর মতো রম্য কবিতা লিখেছেন।রবি ঠাকুরও লিখেছেন  'হিং টিং ছট''-এর মতো বেশ কিছু এই ধরণের কবিতা।


        কিন্তু দুঃখের বিষয়, আজকাল আর সেভাবে রম্য কবিতার দেখা মেলে না।তবে কি এই প্রজন্ম হাসতে ভুলে গেছে? ভুলে গেছে হাসাতেও? অথচ আমরা সবাই জানি, জীবন মানেই হাসি-কান্নার সমাহার।চিকিৎসা বিজ্ঞানেও মানুষের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের ক্ষেত্রে হাসির উপকারিতা স্বীকৃত।তাই বড় বড় শহরগুলিতে যত্রতত্র গজিয়ে উঠছে 'লাফিং ক্লাব'। সেখানে নাকি নানা ধরণের হাসি প্র্যাক্টিস করতে হয়! স্বতঃস্ফূর্ত হাসি আর কৃত্রিম হাসি কখনই কি সমান উপকারী হতে পারে? গোটা ব্যাপারটাই কেমন যেন হাস্যকর।কিন্তু কিছু করারও তো নেই। যুগের চাহিদা অনুযায়ী যোগান তো আসবেই।সকলেই এখন আমরা ভীষণ ব্যস্ত।জীবনের দৌড়-প্রতিযোগিতায় এগিয়ে যাওয়ার আপ্রাণ প্রয়াস প্রতিনিয়ত।সময় কোথায়? আমরা এখন আড্ডাবিমুখ, আত্মকেন্দ্রিক, ফলে রাম গরুড়েই ছানার মতোই আমাদেরও এখন হাসতে মানা।নিতান্ত হাসতে চাইলে, টিভি সিরিয়ালের অশ্লীল ভাঁড়ামি দেখে দুধের সাধ ঘোলে মেটানো।

         যাই হোক, এই লেখাটির উদ্দেশ্য হলো, আসুন না আমরাও চেষ্টা করি, কিছু রম্য কবিতা লেখার।গুরু-গম্ভীর বিষয় তো থাকছে রোজই, অন্তত মাঝে মধ্যে দু-একটি যদি লেখা যায়, মন্দ কি?


         এডমিন সাহেবকেও ভেবে দেখতে বলবো, মাঝে মধ্যে  কবিদের কাছ থেকে রম্য কবিতা প্রকাশের আহ্বান জানানো যায় কি না।


          এ বিষয়ে আসরের কবিদের মতামত কি? জানালে খুশি হবো।