জীবনে চলার পথে আমরা সকলেই চাই, প্রিয়জনদের বুকে আঁকড়ে ধরে এগিয়ে যেতে। কিন্তু পারি কি সবাইকে ধরে রাখতে? পারি না। তবু আমাদের পথ চলতে হয়। হা-হুতাশ করে বসে থাকলে চলে না।সেই হা-হুতাশ সবার মনে ছড়িয়ে দেওয়াটাও সমর্থন করা যায় না। তাতে তাদের এগিয়ে যাওয়ার পথে খানিকটা বাধা সৃষ্টি করা ছাড়া আর কিছু হয় না।অথচ জীবনের মন্ত্রই হলো, চরৈবেতি, চরৈবেতি।


           আমাদের প্রিয় এই আসর অনেক বাধা-বিপত্তি কাটিয়ে এখন অনেকটাই প্রাণ ফিরে পেয়েছে।হয়তো মন্তব্য-প্রতিমন্তব্যের সংখ্যা কিছুটা কমে এসেছে, কিন্তু সেই দমবন্ধ পরিবেশটা আর নেই। এজন্য প্রথমেই এই ওয়েব সাইটের এডমিনদ্বয়কে ধন্যবাদ জানাতেই হয়। হয়তো যে দুজনকে [মৃদুল ও শামা ফারসি] হারিয়েছি তাদেরও হারাতে হতো না যদি আসরের কেউই তাদের অন্যায় কাজকে উদ্বাহু সমর্থন না জানিয়ে আসতো। আমি প্রথম থেকেই তাদের সতর্ক করে আসছিলাম। কিন্তু একের সতর্কতা বিশের সমর্থনের কাছে টিকতে পারে না। ফলে সতর্ক হওয়ার পরিবর্তে  তারা এডমিনের নির্দেশকেও বার বার অমান্য করতে থাকে।ফলে যা ঘটার সেটাই ঘটেছে।


          আজ দেখছি অনেকের বোধোদয় ঘটেছে।অথচ তারাই সেদিন বার বার অন্যায়কে সমর্থন জানিয়ে আসছিল।সে সময়ের বিভিন্ন পাতায় সেসবের অজস্র প্রমাণ আছে।যাক, লেট ইজ বেটার দ্যান নেভার।


           যাই হোক, এই প্রসঙ্গ তোলার একটাই উদ্দেশ্য, ভবিষ্যতে এমন পরিস্তিতির উদ্ভব ঘটলে তারা যেন পাঠক হারানোর ভয়ে অন্যায়কে সমর্থন জানিয়ে 'সেই অন্যায়কারী' আর 'এই আসর' উভয়েরই ক্ষতি না করে।


            আমি এডমিন ভাইকে যতটা চিনি, তাতে উনি কোন কবির বিরুদ্ধেই সহজে কড়া ব্যবস্থা নিতে চান না কখনই। কিন্তু কেউ তাঁকে বাধ্য করলে তিনি আর কী-ই বা করতে পারেন।


             যাই হোক, আসা-যাওয়া, এ তো প্রকৃতির ধর্ম। এই আসরেও আসা-যাওয়া যে যার ইচ্ছাধীন [বিধিভঙ্গকারী ছাড়া]। কাজেই সে সব নিয়ে খুব বেশি মাথা না ঘামিয়ে আসুন, নিজেদের লেখার উৎকর্ষ সাধনায় বেশি বেশি মনোনিবেশ করি আর যথাসম্ভব অন্যদের কবিতা পড়ে গঠনমূলক মতামত জানাই।আপনি যত বেশি অন্যের কবিতা পড়বেন আপনার পাতাতেও তত বেশি পাঠক পাবেন। সেজন্য  আমন্ত্রণ জানানোর প্রশ্নই নেই। আর আপনার পাতায় যে আসে, আপনারও উচিত তার পাতায় যাওয়া।সঙ্গে সঙ্গে সম্ভব না হলেও সময় পেলেই যাওয়া উচিত।তাকে এড়িয়ে অন্য পাতায় যাওয়া অসৌজন্য ছাড়া কিছু নয়। আর কবিদের অসৌজন্যতা শোভা পায় না। সময়ের অভাবে যদি না হয়ে ওঠে সেটা আলাদা কথা। কিন্তু দেখা যায়, অনেকেই দিব্যি অন্য পাতায় যাচ্ছে অথচ তার পাতায় যাওয়া কাউকে কাউকে এড়িয়ে চলছে।এ কেমন মানসিকতা? আমার তো মাথাতেই ঢোকে না।। তার কবিতা যদি ভাল না লাগে কেমন করে আরো ভাল করা যায় সেই পরামর্শও তো দেওয়া যেতে পারে। এর পাশাপাশি যত বেশি সম্ভব অন্যদের কবিতাও পড়া খুবই দরকার আসরটাকে উজ্জীবিত রাখার জন্য।


           যাই হোক, আমরা যদি সত্যিই এই আসরকে অন্তর থেকে ভালবেসে থাকি, তাহলে অবশ্যই আমরা প্রত্যেকেই এই আসরের এক এক জন মুখপাত্র। কাজেই যে ডালে বসে আছি, সেই ডালের গোড়ায় নিজে যেমন কুঠারাঘাত করবো না,তেমনি কাউকে করতেও দেবো না, এই হোক আমাদের মন্ত্র।
এক দিকে যেমন অনেকে স্বেচ্ছায় আসর ছেড়েছে [হয়তো মানসিক ক্লান্তি, সময়ের অভাব অথবা উৎসাহে ভাঁটার কারণে], এটা যেমন দুঃখজনক তেমনি অন্য দিকে প্রচুর প্রতিশ্রুতিমান কবিকেও আমরা পেয়েছি এবং পেয়ে চলেছি। সুতরাং এগিয়ে যেতে হলে তাকাতে হবে সামনের দিকে।