আপন খেয়ালে আসে সমুদ্রের ঢেউ,
ফিরে যায়  আপন খেয়ালে,
ভাল লাগা না লাগার ঊর্ধ্বে  সেসব,
শুধু দাগ রেখে যায় দেয়ালে।
আমি  মাটির  একটু  উপরে  উঠে
হেঁটে যাই বাতাসের বুক চিরে,
সেখানে  তুমি ও তোমার ঐশ্বর্য্
শুধু আমাকেই রাখে  ঘিরে।
সে অর্ঘ্য ইচ্ছে মতো নিই কুড়িয়ে,
মাগনা, তবু কত যে দামি,
স্বর্গীয়  বাতাসে  আত্মহারা  হই,
সৌরভে বিমুগ্ধ হই আমি।
জানি,কিছুই জানো না তুমি এ যাত্রার,
বলিনি কখনো মুখের ভাষায়,
কেনই বা বলবো বলো, সুচরিতা?
ভালবাসিনি পার্থিব আশায়।
চাই না লোনা তরঙ্গে অবগাহন,
চাই না পার্থিব যোগ-বিয়োগে
তোমার নামের স্থূল সংযোজন,চাই না
তোমাকে অতি সাধারণ ভোগে।
শূন্যে ভরে যাবে হিসাবের খাতা,
সাধারণ হিসাব কষি না তাই,
অসীম পারাবার পেতে যে চাই আমি
তাই শূন্য দিয়ে ভাগ করে যাই।
ইচ্ছে মতো ডুব দিই সেই পারাবারে
তুলে  নিই  যত  খুশি  মণি
'সৃষ্টিসুখের উল্লাসে' উঠি মেতে
যেন অফুরান তোমার খনি।
ঢেউ তোলে অন্য সাগর, তুমি
সুস্থির সলিল, আমি অভিযাত্রী,
আজীবন রয়ে যাবে সৃষ্টিশীলতায়
হে আমার নেপথ্য প্রেরণাদাত্রী।
হে নেপথ্যচারিণী, দূরে আছো
তবু, এ তোমার অমূল্য দান,
দিয়েই যে গেলে কেবল অকাতরে
চাইলে না তো কোন প্রতিদান।
প্রতি  পলে  জর্জরিত  হই  ঋণে
শোধ হবে না তা কোনদিনই,
মুখোমুখী হবো না তো কখনই,
তাই থেকে যেতে হবে ঋণী...
------------