প্রায় এক সপ্তাহ ধরে লক্ষ্য করছি, এডমিনের নিকটে কিছুতেই ই-মেইলের মাধ্যমে কোন বার্তা পাঠানো যাচ্ছে না। এ ব্যাপারটা  গুরুত্ব সহকারে দেখার জন্য এডমিন ভাইয়ের কাছে আবেদন রাখছি।
          তাছাড়া "এডমিন সমীপে" নামে যে অপশনটি সংযোজন করার পরিকল্পনা ছিল সেটি কবে থেকে পাওয়া যাবে জানার আগ্রহ রইলো।
-----''
    শ্রীকৃষ্ণকীর্তন --


নীল জলদ সম কুন্তল ভারা;
বেকত বিজুলী শোভে চম্পক মালা॥
শিশত শোভ এ তোর কাম সিন্দুর।
প্রভাত সমএ যেন উয়িগেল মূর॥
ললাটে তিলক যেহ্ন নব শশিকলা।
কুন্ডল মন্ডিত চারু শ্রবণ মুগলা॥
ক্ষাসা তিলফুল তোর অতী আনুপামা।
গন্ডস্থল শোভিত কমলদল সমা।
--
তিঅজ পহর নিশী
মোঁঞ কাহ্নাঞ্শিুর কৌলে বসী
নেহা নিলো তাহার বদনে।
ঈসত বদন করী মন মোর নিল হরী
বে আকুলী ভয়িলোঁ মদনে ॥
চউঠ পহরে কাহ্ন
করিল আধর পান
মোর ভৈল রতিরস আশে।
দারুন কোকিল নাদে
ভাঁগিল আহ্মার নিন্দে
গাইল বড়– চন্ডীদাসে ॥
--
মুকুলিল কুঞ্জ নেআলী। আগ বড়ায়ি।
আনি আর বনমালী॥
দক্ষিণ মলয়া বা অ বহে।
না জান মো কেহ্ন করে গাত্র ॥
ঝাঁট করি, কাহ্নাঞি আনাও।
রতী সুখে রজনী পোহাও ॥-
--
। সে জানে সতী নারীর পতি ভিন্ন গতি নেই। তাই আইহন তার কাছে বীর, সুপুরুষ। কাব্যের প্রথমদিকে তাম্বুল খন্ডেই রাধা ঘৃণা ভরে কৃষ্ণের প্রেম প্রত্যাখান করে বলেছেনঃ-


ঘরের স্বামী মোর সর্বাঙ্গে সুন্দর
আছে সুলক্ষণ দেহা।
নান্দের ঘরের গরু রাখো আল
তা সনে কি মোর নেহা ॥- (তাম্বুল)


কিন্তু শেষ পর্যন্ত কৃষ্ণের দুনির্বার আকর্ষণের জয় হল। ধীরে ধীরে রাধা চরিত্রের মনস্তাত্বিক বিকাশ ঘটেছে। বানখন্ডে কৃষ্ণের বলপূর্বক দৈহিক মিলনের মাধ্যমে একদিকে রাধার কুল চেতনা, সতীত্ব সংস্কার, অন্যদিকে রাধার যৌবন চেতনাও ক্রিয়াশীল। এভাবে দ্বান্দ্বিক উপায়ে রাধা চরিত্রের বিকাশ ঘটেই বিরহ খন্ডে বিরহ জর্জরিত হয়ে রাধা বলেছে-
এ ধন যৌবন বড়ায়ি সবঈ আমার।
ছিন্ডিআঁ পেলাইবো সজ মুকুতার হার ॥
মুছিআ পেলায়িবো মোয়ে সিথের সিন্দুর।
বস্থা বলয়া মো করিবো শংখচুর ॥