এক নীল বৈশাখী পুব আকাশে উঠে ক্রমে
ছড়িয়ে পড়লো উত্তরে দক্ষিণে এমনকি পশ্চিমে,
চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়া সে বৈশাখীর যাদু-স্পর্শে
বিমর্ষও গান গেয়ে ওঠে প্রবল হর্ষে,
ভাষাহীন খুঁজে পায় ভাষা
দিশাহীন পেয়ে যায় দিশা
ভীরু ভোলে কাপুরুষতা
নিষ্ঠুরও ভুলে যায় নিষ্ঠুরতা।


হতাশাগ্রস্তের হৃদয়েও জ্বলে ওঠে আশার আলো,
দূর হয়ে যায় অন্তরের য্ত কালো।
কাবুলি রহমত কন্যা খুঁজে পায় বাঙালি মিনির আলোকে
'গোরা' ভুলে যায় বর্ণবিদ্বেষ,কাছে টেনে নেয় কালোকে।


কখনওবা সে বাতাস প্রতিবাদের ভাষাও বলে,
নাইট খেতাবও বিসর্জিত হ্য় শতদ্রুর জলে
রাখীবন্ধন আর একতার মন্ত্র
রুখে দেয় বঙ্গ-ভঙ্গের ষড়যন্ত্র
শোষিত উপেনের ক্থা জেনে যায় লোকে
জোতদারও চোর হয়ে যায় সমাজের চোখে।


বিশ্ব-কা্ঁপানো সে বৈশাখী -
কেবল সহ্জাত নীলাম্বরেই থাকেনি সজ্জিত
রক্তবর্ণ হরিতবর্ণেও নিজেকে করেছে রঞ্জিত
(তাই)সে বিশেষ কোনো রঙ্এর নয়,সবার
রবি-কিরণতো কেবল সাদা নয়
                           সাত রঙ্এর সমাহার।
-------------------------------------------
*কবিতাটি আমার ছাত্রজীবনে রচিত।