আর কবে মুক্তি দেবে অক্টোপাশ?
ঝিনুকের  পেটে সেই  পাপবিদ্ধ
মুক্তোরাশি রয়ে গেছে অবিকৃত;
দূর গর্ভে শুষে  গেছে ইতিহাস !


বাষ্প হয়ে উড়ে গেছে লোনাজল--
কত ঝড় বয়ে গেছে আশমানে,
উল্কারাও ফিরে গেছে প্রত্যাঘাতে;
আছে তবু অবিকার মেঘদল।


জীবাশ্মেরা ঝরে পড়ে অবিরাম!
সিঁড়িভাঙা কসরতে কাছে ডাকে
বেলাগাম খোলা ছাদ অবেলায়;
স্মরণিকা, আর কবে পাব বিশ্রাম?
------


“আম্মা বলেন, পড়রে সোনা/ আব্বা বলেন, মন দে;
পাঠে আমার মন বসে না/ কাঁঠালচাঁপার গন্ধে।
আমার কেবল ইচ্ছে জাগে/ নদীর কাছে থাকতে,
বকুল ডালে লুকিয়ে থেকে/ পাখির মতো ডাকতে।”
(পাখির মতো/আল মাহমুদ)


“একুশ তুমি রক্তনদী/ কৃষ্ণচূড়ার ফুল
একুশ তুমি রাঙাপ্রভাত/ সুবাসী বকুল।
একুশ তুমি শিমুল ডালে/ জ্বলে উঠা আগুন
একুশ তুমি তপ্ত দুপুর/ রক্তঝরা ফাগুন।
একুশ তুমি পিচঢালা পথ/ রক্তে আঁকা তুলি
একুশ তুমি দৃপ্ত মিছিল/ টিয়ারগ্যাস আর গুলি।
একুশ তুমি বোনের কাঁদন/ মায়ের আহাজারী
দেশমাতৃকার জন্যে আমি/ জীবন দিতে পারি।”
(একুশ তুমি/এনামুল হক মানিক)