অবিকল বাতাসের মতো,
      অদৃশ্য অথচ সুনিশ্চিত বিদ্যমানতা
          অনুভূত হয় অনায়াসে।।
প্রায় পাঁচ বছর জড়িত আছি এখানে। এমনটি আর কখনও দেখিনি। একটা সময় তো, রোজ একখানা কবিতার মতো যা হোক কিছু একটা খাড়া করেই "প্রকাশ করুন"-এ দাও ক্লীক করে।ছড়িয়ে পড়ুক বিশ্বজুড়ে কবিতা-পাগল বাঙালিদের ল্যাপটপে, পিসিতে, মোবাইলে ; তারপর যো হোগা দেখা যায়েগা! কি আর হবে? বড় জোর "আর একটু ভাল হলে ভাল হতো" এই জাতীয় কোন মন্তব্য। কবিতার সংখ্যা বাড়ছে -- এই আত্মপ্রসাদেই মশগুল, উৎকর্ষসাধনে যে প্রচুর অনুশীলন, পড়াশুনা, ছন্দজ্ঞান--এসবেরও দরকার তা ভেবেই দেখতো না অনেকেই। ফলে ঐ 'যা হোক কিছু একটা'র  সংখ্যা বেড়েই চলতো।  বন্ধুমহলে অবশ্য নাসিকাকুঞ্চনের মুখোমখি হতে হতো বেশ।, "এ এঃ, তুই ঐখানে লিখিস, যত্ত সব থার্ড ক্লাশ কবিতায় ভরা, তার চেয়ে প্রাইমারী স্কুলের ম্যাগাজিনে লেখ, মর্যাদা পাবি!" যদিও সে সময়েও অন্তত ২০% ভাল কবিতা প্রকাশ পেত।


          কিন্তু ইদানিং ছবিটা একদমই বদলে গেছে। বিচক্ষণ তত্ত্বাবধায়কের দূরদৃষ্টিসম্পন্ন কিছু পদক্ষেপের ফলে একটা সুস্থ প্রতিযোগিতার বাতাবরণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিশেষত 'গত সপ্তাহের দশটি কবিতায়' জায়গা পেতে হলে যে বেশ খেটেখুটে লিখতে হবে এটা অনেকেই বুঝতে পারছেন।বিশেষত নবীনরা। পক্ষপাতিত্ব বা একই কবির লেখা বার বার তালিকায় আসা' -- এসব অভিযোগ এখন আর ধোপে টিকছে না। এডমিনের ঘোষণা অনুযায়ী প্রায় শতাধিক রিভিউয়ারের কষ্টিপাথরে যাচাই হয়ে তবেই তালিকায়  আসতে পারে কোন কবিতা। ফলে প্রায় প্রতিদিনই অন্তত ৫০% বেশ ভাল কবিতা প্রকাশ হতে দেখা যাচ্ছে।অনেকের মধ্যেই  কবিতা রচনায় সিরিয়াসনেস দেখা  যাচ্ছে । অনেকেই ছন্দ ও কবিতা-বিষয়ক  আলোচনাগুলি খুঁটিয়ে পড়ছেন এবং লেখায় উৎকর্ষতা আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, এটি বেশ বোঝা যায়। ফলে সার্বিকভাবে উপকৃত হচ্ছে আমাদের সকলের প্রিয় এই আসর এবং এটি খুবই ভাল লক্ষণ।
         এভাবেই উৎকৃষ্ট থেকে উৎকৃষ্টতর কবিতায় ভরে উঠুক এই নিঃস্বার্থ কাব্যভূমি, এই কামনা জানিয়ে আজকের আলোচনা শেষ করছি। সকলে ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন আর ভাল ভাল কবিতা উপহার দিন।