সখের বসে কান ফুটেছি ঝুমকা পাব কোথায়?
না দেখিতেই পাগল আমি কাদে এ হৃদয়।
ভাব ছিলাম সব নিজের করে,
দিয়েছি তাই উজার করে।
না চাইতেই দিয়েছি আমি!
ভাবছিলাম এই স্বর্গ গামী।
ভাবিনি কিছু আগে পরে,
এই দিন বুঝি এমনি যাবে।
বয়স আমার বাড়বে না আর,
করবো না যে ঘর সংসার।


বয়স যখন হল কুড়ি,
সবাই আমার বলত বুড়ি!
আমি ভাবি কেমন হল,
ভাবনা কেন এলো মেলো!
সমবসি আর সহপাঠী,
সবার কাছেই নিম্ন বর্তী।
আমি হলাম প্রজাপ্রতি উড়ি ডালে ডালে,
কেউ আসেনা দেখিতে আমায় ঘর বাধিবে বলে।
যৌবন যখন এসেছে মোর, করিনি ভেদাভেদ;
সবার সাথেই বিলিয়ে দিয়েছি আমার সতিচ্ছেদ!
আমার যৌবন রসে তৃপ্ত সবাই, পাগল মাতোয়া;
আমার গন্ধে হন্য হয়ে সব ভুলে যাওয়া।


সেই সব আমার কোথায় গেল?
যারা আমার সঙ্গি ছিল।
সবাই ভুলেছে মোরে,
আমি যেন আজ জীবিত কবরে।
আমি যখন প্রস্তাব রাখি ঘর বাধিবার,
সঙ্গিরা কেউ আসলনা আর আমায় দেখিবার।
আমি যখন ইচ্ছে করিলাম বধু সাজিবার,
সবাই তখন বলল হেসে কি স্বাধ পতিতার!


আমার স্বপ্ন পুড়ে ছায়ের পাহাড়,
একটু ভূলে সব অন্ধকার।
আমি পতিতা হলাম সবার মাঝে,
আমায় ব্যবহার করবে অপকাজে?
এটাই তাদের মনের বাসনা,
কি প্রেম করিয়াছি আমি, আমারও অজানা?
ইচ্ছে করেই ভুল করিয়াছি ভরা যৌবনে,
সেই খেসারত পোহাতে হচ্ছে তুষের দহনে।